আবার মিশন টাইটানিক! এবার যাবে কারা?

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২৩ ০৩:০১; আপডেট: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:০১

দুনিয়া তোলপাড় করা মিনি সাবমেরিন (ডুবোযান) টাইটান - ছবি : সংগৃহীত

দুনিয়া তোলপাড় করা মিনি সাবমেরিন (ডুবোযান) টাইটান দুর্ঘটনার পর ১০ দিনও কাটেনি। এখনো পরবর্তী অভিযানের বিজ্ঞাপন দিয়ে চলেছে ওই ডুবোযান পরিচালন সংস্থা ‘ওশানগেট’। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, ওই বিজ্ঞাপন এখনো সংস্থার ওয়েবসাইটে রয়ে গিয়েছে।

আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল টাইটান ডুবোযান। মারা গিয়েছেন পাঁচ আরোহী। ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি, পরের বছরও অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থার। তাদের ওয়েবসাইটে দেয়া বিজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, টাইটানিকে ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার জন্য দু’টি অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রথমটি ২০২৪ সালের ১২ থেকে ২০ জুন। দ্বিতীয়টি ২১ থেকে ২৯ জুন। খরচ পড়বে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় দুই কোটি ৭০ লাখ টাকা। ভিন্ন ডুবোযান নিয়ে আটলান্টিকে অভিযান, জাহাজে থাকা, খাওয়া, প্রশিক্ষণ, অভিযানের সরঞ্জাম- সব ব্যবস্থাই করবে সংস্থা।

অভিযানের বিষয়ে খুঁটিনাটি তথ্যও দেয়া রয়েছে বিজ্ঞাপনে। তাতে বলা হয়েছে, প্রথম দিন সেন্ট জনস শহরের সৈকতে উপস্থিত হতে হবে অভিযাত্রীদের। সেখান থেকে শুরু হবে যাত্রা। টাইটানিকের ভগ্নাবশেষ দেখতে নিয়ে যাওয়া হবে।

গন্তব্যে পৌঁছতে গেলে ৪০০ নটিক্যাল মাইল ভাসতে হবে সমুদ্রে। যদিও সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, এই অভিযান ‘অনির্দিষ্ট’ কালের জন্য বন্ধ থাকবে। ওই সংবাদ সংস্থার আরো দাবি, নিখোঁজ ডুবোযানের যখন সন্ধান চলছিল, তখনো সংস্থার ওয়েবসাইটে সহকারী পাইলট চেয়ে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছিল।

কানাডার পূর্বে নিউ ফাউন্ডল্যান্ডের উপকূলে জাহাজ থেকে আটলান্টিকের গভীরে ডুব দিয়েছিল টাইটান। মহাসাগরের গভীরে যেখানে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, অভিযাত্রীদের ওই জায়গা ঘুরে দেখায় টাইটান। ওশানগেট সংস্থার তৈরি ওই ডুবোযান গত ১৮ জুন পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে সমুদ্রের ১৩ হাজার ফুট গভীরে নেমেছিল। যাত্রা শুরুর এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় টাইটান।

নিখোঁজ ডুবোজাহাজ উদ্ধারের কাজে নেমেছিল আমেরিকা এবং কানাডার উপকূলরক্ষী বাহিনী। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে চলছিল খোঁজ। ডুবোযানের শব্দ ধরার জন্য শব্দতরঙ্গ যন্ত্রও বসানো হয়েছিল। উপকূলরক্ষী এবং বিমানবাহিনীর সঙ্গে তল্লাশিতে নেমেছিল রোবটও। এই রোবটই টাইটানিকের কাছেই একটি অন্য যানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় এবং পরে আমেরিকার উপকূলরক্ষী বাহিনী সেটিকে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ বলেই চিহ্নিত করে।

সং‌বাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ডুবোযানটিতে ছিলেন ব্রিটেনের কোটিপতি ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং, পাকিস্তানের ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ এবং তার ছেলে সুলেমান, ওশানগেট সংস্থার মুখ্য কর্মকর্তা স্টকটন রাশ এবং ফরাসি নাবিক পল হেনরি নারজিওলেট।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top