লিবিয়ায় বন্যায় মৃত্যু হাজার ছাড়াল, ছুঁতে পারে দশ হাজার

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:২৩; আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫ ১৬:০৭

লিবিয়ার দেরনায় ধ্বংসযজ্ঞের একটি দৃশ্য। ১১ সেপ্টেম্বর তোলা ছবি- গেটি ইমেজ/আনাদুলু এজেন্সি

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ও ভয়াবহ বন্যায় উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে এক হাজারের বেশি মানুষের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পূর্ব প্রশাসনের একজন মন্ত্রী মঙ্গলবার বলেছেন, বর্তমানে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বলা সম্ভব নয়। তবে এটি অনেক বাড়তে পারে। তিনি জানান, চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মৃতদেহ।

দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্গম দেরনায় হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। অনেকেই স্রোতে ভেসে গেছে।

লিবিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওসমান আবদুল-জলিল বলেছেন, তিনি আশঙ্কা করছেন যে, মৃতের সংখ্যা দশ হাজারের বেশি হতে পারে।

আমি দেরনা থেকে ফিরে এসেছি। এটা খুবই বিপর্যয়কর। মৃতদেহ সর্বত্র পড়ে আছে- সমুদ্রে, উপত্যকায়, ভবনের নিচে। হিচেম চকিউয়াত

ভূমধ্যসাগরীয় ঝড় ড্যানিয়েল লিবিয়ায় বিধ্বংসী বন্যার সৃষ্টি করেছে। এটি সমগ্র এলাকাকে ভাসিয়ে নিয়েছে। উত্তর আফ্রিকার দেশটির পূর্বাঞ্চলের একাধিক উপকূলীয় শহরে ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।

লিবিয়ার বিদ্রোহীদের দখলে থাকা দেরনায় বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। লিবিয়ায় বর্তমানে দুটি সরকার রয়েছে। একটি সরকার পূর্বাঞ্চল এবং আরেকটি সরকার পশ্চিমাঞ্চল শাসন করে। দুটি সরকারই বিদেশি দেশগুলোর দ্বারা স্বীকৃত। তবে জাতিসংঘ শুধু ত্রিপোলি সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

সেখানকার বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী এবং জরুরি কমিটির সদস্য হিচেম চকিউয়াত ফোনে রয়টার্সকে বলেছেন, 'আমি দেরনা থেকে ফিরে এসেছি। এটা খুবই বিপর্যয়কর। মৃতদেহ সর্বত্র পড়ে আছে- সমুদ্রে, উপত্যকায়, ভবনের নিচে।'

পূর্ব লিবিয়ার সরকারের প্রধান ওসামা হামাদ জানিয়েছেন, অন্ততপক্ষে দুই হাজার মানুষ মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাঁচ হাজার মানুষকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রচুর মানুষ সমুদ্রে ভেসে গেছে। যদিও হামাদ সরকার জাতিসংঘ স্বীকৃত নয়।

তুরস্ক তিনটি বিমানে করে উদ্ধারকারী দলকে পাঠিয়েছে। আমিরাতের প্রেসিডেন্টও জানিয়েছেন, তারাও উদ্ধারকারী দল পাঠাচ্ছেন।

রোববার লিবিয়ায় আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় জ্যানিয়েল। তারপর দুর্গত মানুষকে উদ্ধার করতে গিয়ে সাতজন সেনা নিখোঁজ হয়েছেন।

লিবিয়ায় জাতিসংঘের প্রতিনিধি গ্যাগনন বলেছেন, প্রচুর শহর ও গ্রাম বিপর্যস্ত হয়েছে। বন্যা হয়েছে। পরিকাঠামো নষ্ট হয়েছে। প্রচুর মানুষ মারা গেছেন।

ত্রিপোলিতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্বীকৃত সরকার ত্রাণের আবেদন জানিয়েছে। তিন সদস্যের প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা সব বন্ধু দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠনকে সাহায়্য করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।

সোমবার সকালে তুরস্ক তিনটি বিমানে করে উদ্ধারকারী দলকে পাঠিয়েছে। আমিরাতের প্রেসিডেন্টও জানিয়েছেন, তারাও উদ্ধারকারী দল পাঠাচ্ছেন।

সূত্র: রয়টার্স ও সিবিসি



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top