অর্ধেক দেশ বিদ্রোহীদের দখলে, টুকরা টুকরা হয়ে যাবে মিয়ানমার!

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৪৫; আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫ ২৩:০১

ছবি: ফাইল

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ভয়াবহ ধরনের সমস্যায় পড়ে গেছে। দেশটির অস্তিত্বই এবার প্রশ্নের মুখে রয়েছে। ক্ষমতা গ্রহণের আড়াই বছরের শাসনকালে সম্ভবত এবার বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে জান্তা সরকার। সামরিক সরকার-বিরোধী সশস্ত্র গ্রুপগুলো একজোট হয়েছে।

দাবি করা হয়েছে, মিয়ানমারের অর্ধেকাংশ নাকি এখন ওই গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণ। পরিস্থিতি যে খুব একটা অনুকূলে নয়, তার ইঙ্গিত মিলেছে জান্তা সরকারের প্রতিক্রিয়ায়।

সরকারের প্রেসিডেন্ট মিয়ে সুয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এভাবে অস্থিরতা তৈরি করা হলে দেশ টুকরা টুকরা হয়ে যাবে। সহিংসতার জেরে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালাচ্ছে মিয়ানমারের বহু নাগরিক।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিদ্রোহ ঘটিয়ে মিয়ানমারে সামরিক শাসন জারি করেছিল সেনাবাহিনী। দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে নানা প্রান্তে শুরু হয় বিদ্রোহ। সম্প্রতি মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়্যান্স আর্মি, তাঙ্গ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি এবং আরাকান আর্মি হাত মিলিয়েছে। এই তিন গ্রুপের জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ হিসেবে পরিচিত।

মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রান্তে জান্তা সরকারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ওই গ্রুপের প্রবল সংঘর্ষ চলছে। সাম্প্রতিককালে তিন গ্রুপের জোটের সাথে সেনাবাহিনীর প্রথম সংঘাত ঘটে গত ২৭ অক্টোবর। লড়াই হয় দেশের উত্তর এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে।

দ্বিতীয় সংঘাতের ঘটনাটি ঘটেছে গত ৭ নভেম্বর। ওই সংঘর্ষে দক্ষিণ-পূর্বের একটি বড় এলাকা দখল করে নিয়েছে ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’। সম্প্রতি আরাকান আর্মি একটি প্রদেশ দখল করে নিয়েছে।

‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’-এর এই অগ্রগমনে পুরোপুরি শঙ্কিত জুন্টা প্রশাসন। পরিস্থিতি আরো ঘোরালো হয়ে উঠতে পারে যদি তিন গ্রুপের জোট মিয়ানমারের কেন্দ্রস্থল, বিশেষ করে মান্দালয়ের উত্তরে সংঘর্ষ শুরু করে। প্রশ্ন হলো, ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’-এর সাফল্য কি মিয়ানমারের বিরোধীদের বিদ্রোহী বাহিনীতে যোগ দিতে উৎসাহিত করবে কিনা।

যদি তাই হয় তা হলে সামরিক সরকারের জন্য একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করবে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জান্তা সরকারের প্রেসিডেন্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এভাবে সংঘাত বজায় থাকলে দেশ টুকরা টুকরা হয়ে যেতে সময় লাগবে না। দেশে সহিংসতার জন্য ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’কে দায়ী করেছেন তিনি। অনেকেই মনে করেছেন, এটা জান্তা সরকারের শেষের শুরু হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে চীনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের অনুমান, বাণিজ্যিক কারণে জান্তা সরকারের পাশে রয়েছে চীন প্রশাসন। কিন্তু ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’-এর এই বাড়বাড়ন্ত বেইজিংয়ের সমর্থন ছাড়াও সম্ভব নয়।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top