ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও আগ্নেয়গিরির লাভায় নিহত বেড়ে ৩৭

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২৪ ১১:১৪; আপডেট: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:৩২

- ছবি - ইন্টারনেট

পশ্চিম ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে আকস্মিক বন্যা ও আগ্নেয়গিরির ঠান্ডা লাভার প্রবাহে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৮ জন। আকস্মিক এই বন্যায় শতাধিক বাড়িঘর, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানায়, শনিবার রাত থেকে পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের আগাম ও তানাহ দাতার অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে পুরো অঞ্চলটি লাভার স্রোতে প্লাবিত হয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে এই দুই অঞ্চলে লাভার কাদায় প্রায় ডুবে গেছে।

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা আরও জানিয়েছে, ঠান্ডা লাভায় অন্তত পাঁচটি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া বাড়িঘর, মসজিদসহ শতাধিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঠান্ডা লাভা লাহার নামে পরিচিত। আগ্নেয়গিরির লাভায় যেসব ছাই, বালি ও নুড়ি মিশ্রিত থাকে, সেটাই বৃষ্টিতে গলে লাহারে পরিণত হয়। সুমাত্রা অঞ্চলের বেশিরভাগ রাস্তা এই লাহারে ডুবে গেছে। রাস্তাগুলো দ্রুত পরিষ্কারের জন্য ভারী সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধান ও আশ্রয়কেন্দ্রে লোকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্ধারকারী ও রাবার বোটের একটি দল পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আগাম জেলার ৪৩ বছর বয়সী গৃহবধূ রিনা দেবিনা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি বজ্রপাত এবং ফুটন্ত পানির মতো শব্দ শুনেছি। এটি মারাপি পর্বত থেকে বড় বড় পাথর পড়ার শব্দ ছিল। পিচ কালো থাকায় আমি আমার মোবাইলটি টর্চ হিসেবে ব্যবহার করেছি। রাস্তা কাদায় ডুবে যাওয়ায় আমি বারবার ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি। তিন সন্তানের এই জননী বলেন, বড় পাথরের চাপায় তার চার প্রতিবেশী মারা গেছেন।

রোববার বিকেল পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা আগাম জেলার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কান্ডুয়াং গ্রাম থেকে ১৯টি মরদেহ উদ্ধার করে।

বর্ষাকালে ভূমিধস ও বন্যার ঝুঁকিতে থাকে ইন্দোনেশিয়া । গত দুই মাস আগেই মারাত্মক বন্যার কবলে পড়ে এই অঞ্চল। এছাড়া গত সপ্তাহে দক্ষিণ সুলাওয়েসিতে ভূমিধস ও বন্যায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top