ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ, লড়বেন যারা

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২৪ ১০:২৭; আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪ ২১:০০

ছবি: সংগৃহীত

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহতের পর দেশটিতে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘোষণা অনুসারে আজ শুক্রবার (২৮ জুন) দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে থাকা গার্ডিয়ান কাউন্সিল ছয় প্রার্থীর প্রার্থিতা অনুমোদন করেছে। তবে তাদের মধ্যে দুজন প্রার্থী নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে এবার নির্বাচনে লড়ছেন চারজন প্রার্থী।

ইরানের সংবাদমাধ্যম ইরনা জানায়, ইরানের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজিজাদেহ হাশেমি নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

ইরানের জাতীয় নির্বাচন সদর দপ্তর বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) এক বিবৃতিতে জানায়, ছয় প্রার্থীর মধ্যে দুজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। তাদের একজন হলেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আমির হোসেন গাজিজাদেহ হাশেমি। তিনি বুধবার রাতে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। অন্যজন হলেন আলি রেজা জাকানি। জাকানি গতকাল বৃহস্পতিবার সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

নির্বাচন থেকে দুই প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন চারজন। তারা হলেন ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ, পরমাণু কর্মসূচিবিষয়ক সাবেক মধ্যস্থতাকারী সাইদ জালিলি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তফা পোউর মোহাম্মাদি এবং পার্লামেন্ট সদস্য মাসুদ পেজেশকিয়ান।

নির্বাচনে এসব প্রার্থীর মধ্যে রাইসির উত্তরসূরি হিসেবে সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে মোহাম্মদ বাকের কালিবাফের নাম। এর আগে ২০০৫, ২০১৩ ও ২০১৭ সালেও কালিবাফ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন। তবে শেষবার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে তিনি রাইসিকে সমর্থন দেন।

রাজনীতিতে আসার আগে কালিবাফ ইরানের অভিজাত বাহিনী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৭ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি তাকে রেভল্যুশনারি গার্ডের বিমানবাহিনীর প্রধান করেছিলেন। আর ২০০০ সালে পুলিশপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। বাকের কালিবাফের নাম ইরানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১৯৯৯ সালের ছাত্র আন্দোলন কঠোর হাতে দমনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।

এদিকে, নির্বাচন উপলক্ষে সারা দেশে ৫৮ হাজার ৬৪০টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর বাইরে ১০০টি দেশে প্রবাসী ভোটারদের জন্য ৩৪০টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র সরকারও তাদের মাটিতে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top