বৃটেনে নির্বাচন, কে হচ্ছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী?

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ৫ জুলাই ২০২৪ ০৮:৩২; আপডেট: ৮ জুলাই ২০২৪ ১৫:৪৮

ছবি: সংগৃহীত

নানা জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই গতকাল বৃটেনে জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন অপেক্ষার পালা কোন দল বিজয়ী হয়, কে গঠন করেন নতুন সরকার। প্রধান দুই দল ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দলের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, বিরোধী লেবার দলের নেতা কিয়ের স্টারমার গতকাল সস্ত্রীক ভোট দিয়েছেন। এ দু’জনের একজন হবেন নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী। তবে ভোটের আগ পর্যন্ত জনমত জরিপগুলো এগিয়ে রেখেছে কিয়ের স্টারমারকে।

জরিপকারী সংস্থাগুলো পূর্বাভাস দিয়েছে এবার রেকর্ড জয় পেয়ে সরকার গঠন করতে পারে লেবার পার্টি। পক্ষান্তরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবি হতে পারে। তবে এই খবর যখন পাঠকের হাতে পৌঁছাবে, ততক্ষণে ভোট গণনা শুরু হয়ে যাবে। এমনও হতে পারে নির্বাচনের ফলও হাতে এসে যেতে পারে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ।

এরপরই গণনা শুরু হয়। যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সের আসন সংখ্যা ৬৫০টি। এবারের নির্বাচনে বৃটেনের পার্লামেন্ট সদস্যদের নির্বাচিত করতে ভোটে অংশ নেয়ার কথা প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ ভোটারের। ভোটারদের ভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ হচ্ছে কারা হাউস অব কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে। ভোটের ফলাফল গত রাতে বা আজ শুক্রবার সকালে ঘোষণা করার কথা রয়েছে। পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যেকোনো দলকে কমপক্ষে ৩২৬টি আসনে জয়ী হতে হয়।

এই সংখ্যক আসন পেয়ে যদি কোনো দল জয়ী হয়, তাহলে সেই দল সরকার গঠন করে। তাদের দলনেতা হন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু যদি কোনো দলই কমপক্ষে ৩২৬ আসন পেতে ব্যর্থ হয়, তাহলে যে পার্লামেন্ট গঠিত হয় তাকে বলে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট। তখন বিজয়ী দল অন্য দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জোট সরকার গঠন করতে পারে। অথবা অনানুষ্ঠানিক এক চুক্তিকে অন্য দল তাদেরকে সমর্থন দেয়।

তাদের এমন সমর্থন নিয়ে যে সরকার গঠন হয় তাকে বলে সংখ্যালঘু সরকার। ২০২২ সালে আইনি পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশটির প্রায় ২০ লাখ নাগরিক এবার ভোট দেয়ার অধিকার পেয়েছে। তবে যারা ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে দেশটিতে রয়েছেন তারাই কেবল ওই আইনের অধীনে এবার ভোটে অংশ নিয়েছেন।

মে মাসে পার্লামেন্ট ভেঙে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দেন বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। গত ১৪ বছর ধরে টানা ক্ষমতায় রয়েছে সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি। তবে এবার তাদের বড় রকমের পরাজয় হতে পারে বলে জরিপের পূর্বাভাসগুলোতে তথ্য দেয়া হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে জোরালো প্রচারণা চালান লেবার পার্টির প্রধান স্টারমার এবং কনজারভেটিভ পার্টির ঋষি সুনাক। এবারের প্রচারণায় দেশটির অর্থনীতি এবং অভিবাসন নীতি গুরুত্ব পেয়েছে। তারা দু’জনেই জয়ী হলে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ ছাড়া একে অন্যকে দোষারোপ করে বলেছেন যে প্রতিপক্ষ জয় পেলে দেশটির অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে।

ভোটের ফলাফলের বিভিন্ন জরিপে লেবার পার্টির ভূমিধস বিজয়ের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ভোট গণনাকারী সংস্থা সার্ভেশনের একটি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এবার কমপক্ষে ৪৮৪টি আসনে জয়ী হবে কিয়ের স্টারমারের লেবার পার্টি। এর আগে দলটির সাবেক নেতা টনি ব্লেয়ার ১৯৯৭ সালে ৪১৮টি আসনে জয়লাভ করেছিলেন। এই জরিপে সেবারের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। এসব জরিপ অনেকটাই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ঋষি সুনাকের জন্য। তবে আজই নির্ধারণ হবে কারা এবার বৃটেনে সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top