ইসরাইল গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:৪২; আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:৩৬

ইসরাইল গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’ চালিয়েছে। এমন অভিযোগ করেছে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। এই ধরনের অভিযোগ ইসরায়েলি নেতারা বারবারই অস্বীকার করেছেন। মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, তারা কয়েক মাস ধরে ঘটনা পর্যবেক্ষণ এবং ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, নাৎসি হলোকাস্টে ইহুদিদের গণহত্যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রণীত ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশনে গণহত্যাকে “একটি জাতীয়, জাতিগত, জাতিগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত কাজ” হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। তবে ইসরায়েল গণহত্যার অভিযোগ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তাদের দাবি, তারা আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান করে গাজায় হামলা চালাচ্ছে। অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
১৪ মাস আগে ইসরাইল ভূখণ্ডে হামাসের হামলার পর গাযায় পুরোদমে আকাশ ও স্থল অভিযান শুরু করে। গাযার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী এসব হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৪০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা ও জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাযায় এখন আর কোন নিরাপদ জায়গা নেই।
দ্য হেগে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেছেন, গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল গণহত্যা চালিয়েছে বলে তাদের নেওয়া সিদ্ধান্তটি “হালকাভাবে, রাজনৈতিকভাবে বা অগ্রাধিকারমূলকভাবে” নেওয়া হয়নি।
প্রতিবেদন উপস্থাপনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে (গাজায়) একটি গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে। ছয় মাস ধরে গভীর গবেষণার পর আমাদের মনে কোনও সন্দেহ নেই, একটুও সন্দেহ নেই।”
অ্যামনেস্টি আরও বলেছে, ইসরায়েল এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশনে নিষিদ্ধ পাঁচটি কাজের মধ্যে অন্তত তিনটি করেছে, যার মধ্যে হত্যা, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতিসাধনের মতো বিষয়ও রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: