সফলভাবে নেমে এল প্রথম মনুষ্যবাহী বাণিজ্যিক স্পেস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩ আগস্ট ২০২০ ১৯:০৩; আপডেট: ১৮ মে ২০২৪ ১৯:৩৫

নাসার দুই নভোচারীকে নিয়ে মেক্সিকো উপসাগরে স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল

প্রথম মনুষ্যবাহী বাণিজ্যিক স্পেস মিশন সফলভাবে শেষ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মিশন শেষে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে নাসার দুই নভোচারীকে নিয়ে মেক্সিকো উপসাগরে নেমে এল স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল। খবর রয়টার্সের।

রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪৮ মিনিটে চারটি প্যারাসুটে ভর করে ডগ হার্লি এবং বব বেনকেন ক্রু ড্রাগনে করে নির্বিঘ্নে নেমে আসে ফ্লোরিডা উপকূলের পেনসাকোলার দক্ষিণের সাগরে। এর দুই মাস আগে স্পেস এক্সের বাহনে চড়েই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে গিয়েছিলেন তার।

মিশনের সফল সমাপ্তিতে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে নাসার কন্ট্রোলরুম। উদ্ধারকারী নৌযান গিয়ে ক্যাপসুল থেকে বের করে আনে দুই নভোচারীকে। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে হেলিকপ্টারে চড়ে তারা ফিরে আসেন উপকূলে।

এর মধ্য দিয়ে নয় বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের মাটি থেকে নাসার প্রথম মনুষ্যবাহী মিশন সফলভাবে শেষ হল। সূচনা হল মহাকাশযাত্রার নতুন একটি ব্যবসায়িক মডেলের।

গত ৩১ মে ক্যাপসুল উৎক্ষেপণের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই মিশনের দুই নভোচারী নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসায় টুইট করে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

আর নাসার প্রশাসক জিম ব্রাইডেনস্টাইন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “নাসার জন্য আজ এক দারুণ দিন, দারুণ দিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য। আজ আমরা সত্যিই ইতিহাস তৈরি করলাম।”

নাসার স্পেস শাটলগুলোর মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভোচারী পাঠানোর জন্য রাশিয়ার সয়ুজ মহাকাশযানের ওপরে নির্ভর করতে হচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রকে। সেজন্য খরচ হত বিপুল অংকের টাকা।

রাশিয়ার ওপর এই নির্ভরতা কাটিয়ে ওঠার জন্য বেসরকারি খাতে স্পেস মিশন শুরুর উৎসাহ দিয়ে আসছিল নাসা। টেক বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্সকে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়েছিল।

যে ফ্যালকন নাইন রকেটের মাধ্যমে ক্যাপসুল ক্রু ড্রাগনকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, সেটিও স্পেসএক্সেরই তৈরি। মিশন শেষ করে দুই নভোচারীর নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বেসরকারি ‘স্পেস ট্যাক্সি’ চালুর পরীক্ষাতেও সফল হল নাসা ও স্পেসএক্স।

নাসা বলছে, এভাবে যদি তারা বেসরকারি বাহন ব্যবহার করে মিশন চালিয়ে যেতে পারে, তাহলে তাদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বেচে যাবে এবং সেই অর্থ তারা ব্যয় করতে পারবে ভবিষ্যতের চাঁদ ও মঙ্গল অভিযানে।

#এনএস



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top