ইতালিতে সাত কথিত বাংলাদেশির মৃত্যু নিয়ে সক্রিয় দূতাবাস

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারী ২০২২ ১২:১৩; আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:৩০

ছবি: প্রতীকী

গত মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ইতালিতে সংঘটিত মর্মান্তিক ঘটনায় নিহত সাত কথিত বাংলাদেশি নাগরিকের মরদেহ সিসিলি প্রদেশের এগ্রিজেন্তো এলাকার একটি মর্গে রাখা আছে। লাশ ফেরত পাঠানোর আগ পর্যন্ত মর্গেই রাখা হবে বলে জানা গেছে এবং মরদেহ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চলছে।

দীর্ঘক্ষণ তীব্র ঠান্ডায় থাকার ফলে হাইপোথারমিয়ায় কথিত সাত বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়ে অবহিত হওয়ার পর থেকেই ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে।

মর্গ পরিদর্শনের জন্য আদালতের অনুমতির বাধ্যবাধকতা থাকায় এখনও সরেজমিনে লাশগুলো দেখা সম্ভব হয়নি। তবে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয় দুর্ঘটনাস্থল থেকে জীবিত উদ্ধারকৃতদের বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং দূতাবাসের প্রতিনিধিদল তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

ইতালীয় সূত্রের প্রাথমিক তথ্যমতে অভিবাসন প্রত্যাশী ২৮৭ জনের মধ্যে ২৭৩ জন ছিলেন বাংলাদেশি। যাদের মধ্যে সাত জন মারা গেছেন। অন্যরা মিসরের নাগরিক।

ইতালির কাতানিয়া ও পালেরমোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের অনারারি কনসালদের মাধ্যমেও বাংলাদেশ দূতাবাস প্রকৃত তথ্য অনুসন্ধান এবং করণীয় নির্ধারণে কাজ করে যাচ্ছে।

দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম কল্যাণ) মো. এরফানুল হকের নেতৃত্বে ও দূতাবাসের একজন ইতালি-ভাষী কর্মচারীসহ দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি দল দুর্ঘটনার পরদিনই (২৬ জানুয়ারি) লাম্পেডুসা দ্বীপে পৌঁছান।

কাউন্সেলর হক ২৭ জানুয়ারি লাম্পেডুসার ডেপুটি মেয়র প্রেস্টিপিনো সালভাতোরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মেয়র শহরের বাইরে থাকায় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা যায়নি। সাক্ষাতে তারা দুর্ঘটনার বিষয়ে ও ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিকারে প্রয়োজনীয় কৌশল নির্ধারণ নিয়ে আলাপ করেন।

শুক্রবার ইতালির কোস্টগার্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দূতাবাসের প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেন। সংশ্লিষ্ট সকলকে অসাধু মানবপাচারকারী চক্র থেকে সাবধানে থাকার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে দূতাবাস।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top