জামায়াত নেতাসহ নওগাঁর ৩ যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড

রাজ টাইমস | প্রকাশিত: ১ জুন ২০২২ ০৪:৫৩; আপডেট: ৬ মে ২০২৪ ১৮:৫৪

ছবি: সংগৃহীত

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের মামলায় নওগাঁ জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মো. রেজাউল করিম মন্টুসহ (৬৮) তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় নওগাঁয় সাতজনকে হত্যার পাশাপাশি আরও অনেককে আটকে রেখে নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠণ ও অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডিত অপর আসামিরা হলেন- মো. নজরুল ইসলাম ও মো. শহিদ মণ্ডল। তাদের মধ্যে নজরুল পলাতক; বাকি দুজন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

১৪৪ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপে আদালত বলেছে, এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন মানবতাবিরোধী অপরাধের যে তিন ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছিল, তার সবগুলোই প্রমাণিত হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, আবুল কালাম আযাদ ও তাপস কুমার বল। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

এর আগে ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর মামলাটির তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে মোট ৩১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগের ওপর ট্রাইব্যুনালে শুনানি হয়।

তিন অভিযোগ

অভিযোগ ১ : ১৯৭১ সালের ৭ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সময়ে আসামিরা নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের রানাহার গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ-নিরস্ত্র সাহেব আলী, আকাম উদ্দিন, আজিম উদ্দিন মণ্ডল, মোজাফফর হোসেনকে হত্যাসহ ওই সময় ১০-১২টি বাড়ি লুট করে অগ্নিসংযোগ করে।

অভিযোগ ২ : ১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর দুপুর আনুমানিক দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টার মধ্যে আসামিরা নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের খোজাগাড়ী গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ-নিরস্ত্র মো. নুরুল ইসলামকে হত্যা করে। এ সময় তারা ১৫-২০টি বাড়ি লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ করে।

অভিযোগ ৩ : ১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর বিকাল আনুমানিক ৫টা থেকে পরদিন ৯ অক্টোবর আনুমানিক বিকাল ৫টা পর্যন্ত সময়ে নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের মো. কেনার উদ্দিন এবং মো. আক্কাস আলীকে অবৈধভাবে আটক করে নির্যাতন করে। পরে অপহরণ করে জয়পুরহাটের কুঠিবাড়ী ব্রিজে নিয়ে হত্যা করে। ওই সময়ের মধ্যে আসামিরা ৪০ থেকে ৫০টি বাড়িতে লুটপাট চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top