লেখকদের রঙ্গ-রসিকতা

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:৪২; আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৪:২০

লেখকরা আর দশজন মানুষ থেকে কিঞ্চিত আলাদা। তাই তাদের যাপিত জীবনের সুখ-দুঃখ, রঙ্গ-রসিকতাও একটু আলাদা। কোনো কোনো সময় এসবে তাদের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। পরিস্থিতির ‘শিকার’ হন শুধু। এসব পরিস্থিতি স্বীকার বা অস্বীকারও করতে হয় না অনেক লেখকের। শুধু উৎসাহী কেউ উঁকি দিলে দেখতে পান দূর দিগন্ত!

দুই ভাই ‘দ্বয়’ কে কৌতূহলটা ছিল দীর্ঘদিনের। লেখক ও সাংবাদিক আহসান কবির, তার ছোট ভাই কার্টুনিস্ট কাম লেখক আহমেদ কবীর কিশোর। একদিন কিশোরকে প্রশ্ন করা হল, ‘আহসান কবির হ্রস্ব ই কারে নাম লিখলে আপনি কেন দীর্ঘ ইকার ব্যবহার করবেন?’

হেসে জবাব দিলেন, ‘তিনি আগে এসেছেন যে!’

আগে বলতে বাংলা বর্ণ তথা যতিচিহ্নে হ্রস্ব ইকার প্রথমে, এরপরই দীর্ঘ ইকার! এমন নজির আরেকটা রয়েছে। ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের লেখক ও সেবা প্রকাশনীর প্রকাশক কাজী আনোয়ার হোসেনের বড় ভাই কাজি মাহবুব হোসেন। তিনি ওয়েস্টার্ন কাহিনি লেখক হিসেবে খ্যাত। এঁদের বাবা শিক্ষাবিদ কাজী মোহাতার হোসেন সন্তানের নামকরণের ক্ষেত্রে এমন আগ-পিছ তত্ত্ব ব্যবহার করেছিলেন কি না জানা নেই!

একসময়ের জনপ্রিয় একটি দৈনিকের সাপ্তাহিক ক্রোড়পত্র হিসেবে প্রকাশিত ১৬ পৃষ্ঠার ম্যাগাজিন একবার ‘মাসুদ রানা’ সংখ্যা করেছিল। সেখানে লিখেছিলেন পাঠকরাও। কাজী আনোয়ার হোসেনের নাম না নিয়েই একজন লেখক (?) মাসুদ রানা কীভাবে-কেন তার প্রিয় লেখক এমন সব গুণগানের ফিরিস্তি দিয়ে গেছেন! বিভাগীয় সম্পাদকও কী বুঝে সেটা ছাপিয়ে দিয়েছিলেন জানি না।

কাজী আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পরে তাঁকে নিয়ে লিখেছেন মিলা মাহফুজা। ঘটনাটি আশির দশকের। মিলা মাহফুজা ও তাঁর স্বামী ‘সেবা রোমান্টিক’খ্যাত খন্দকার মজহারুল করিম স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে চুটিয়ে অটোগ্রাফ দিতেন। কাজীদা বইমেলার শেষদিকে কেন যেতেন তা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন একবার। জবাবে কাজীদা স্মিত হেসে বললেন, আমি তো আপনাদের মতো অনেক অটোগ্রাফ দিতে বইমেলায় আসি না। একটা অটোগ্রাফ দিতে আসি!

আদতে স্টলের বিক্রির হিসাব বুঝে নিয়ে খাতায় স্বাক্ষর করতেন কাজী আনোয়ার হোসেন।

- চলবে

লেখক: শফিক হাসান (মূল লেখাটি ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত হয়।)



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top