বিশ্বব্যাংক, এডিবি থেকে ঋণ চায় বাংলাদেশ

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৪ আগস্ট ২০২২ ১৫:৪০; আপডেট: ৪ আগস্ট ২০২২ ১৫:৫১

রাজটাইমস ডেস্ক

দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভকে স্বাভাবিক রাখতে একের পর এক জায়গায় ধর্না দিচ্ছে বাংলাদেশ।বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভকে শক্তিশালী রাখতে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-র কাছ থেকে সহায়তা চায় বাংলাদেশ। খবর টিবিএস

বাংলাদেশ সরকার উভয় দাতা সংস্থার কাছে ১০০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়ে দুটি চিঠি পাঠিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির চড়া দর এবং ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাত দেশের অর্থনীতিতে যে প্রভাব ফেলেছে– তা মোকাবিকায় এ সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

সরকার ঋণগ্রহণের বিষয়টি এখনও ঘোষণা না করায়, নাম না প্রকাশের শর্তে এসব কথা জানান জ্যেষ্ঠ একজন বাংলাদেশি কর্মকর্তা।

আমদানির খরচ বাড়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ চাপের মধ্যে আছে। রিজার্ভকে বাড়াতে দিনকয়েক আগেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ সহায়তা চেয়েছে সরকার। এরপরই বিশ্বব্যাংক ও এডিবির কাছ থেকেও চাওয়ার বিষয়ে জানা গেল।

বাংলাদেশের দক্ষিণ এশীয় দুই প্রতিবেশী– শ্রীলঙ্কা আর পাকিস্তানও নিজ নিজ অর্থনীতির নাজুক অবস্থা থেকে উত্তরণে আইএমএফ এর সাথে ঋণ পাওয়ার আলোচনা করছে।

এর আগে গত ২৭ জুলাই এক গণমাধ্যম ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছিলেন, 'শুধু আইএমএফ নয়, (ঋণ পেতে) আমরা বিশ্বব্যাংক ও এডিবির কাছেও যাব'।

ব্লুমবার্গ নিউজ জানিয়েছে, বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে তারা অর্থমন্ত্রী কামাল ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খানের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে কোনো সাড়া পায়নি।

গত ২৭ জুলাই নাগাদ আমদানি ব্যয়ের চাপে দেশের মুদ্রা রিজার্ভ ৩৯.৪৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৫.৭ বিলিয়ন। গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতিও রেকর্ড ৩৩.৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আরেক কর্মকর্তা ব্লুমবার্গকে জানান, এডিবির সাথে অন্তত চারটি প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে সরকারের প্রাথমিক আলোচনা চলছে। এরমধ্যে করোনা মহামারি থেকে অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের জন্য ২৫০ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ সহায়তাও রয়েছে।

এ ছাড়া, সিলেটসহ দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ের ভয়াল বন্যার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা ও পুনর্গঠনে আরও ২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে পারে এডিবি। তবে এনিয়ে আলোচনা এখনও চলমান রয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান। এ বিষয়ে তিনি আর বিশদ কিছু বলতে চাননি।

গত বুধবার রাজধানীতে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল। এসময় তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, এক মাসের মধ্যেই ভোক্তামূল্য কমবে এবং টাকাও ডলারের বিপরীতে স্থিতিশীল অবস্থানে ফিরবে।

অচিরেই অর্থনীতি সঠিক পথে ফিরবে বলেও জানান তিনি

খবরের লিঙ্ক



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top