সুবিধা থেকেও কেন এক-ব্যক্তি কোম্পানি গঠন নগণ্য?

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২২ ১৫:৪০; আপডেট: ১৭ মে ২০২৪ ২৩:২৫

ছবি: সংগৃহিত

এক ব্যক্তি কোম্পানি (ওপিসি) কে উৎসাহিত করতে দায় সীমিত করে দেয়া হয়েছে৷ কিন্তু শিল্প উদ্যোগে এমন কোম্পানির সংখ্যা একেবারে নগন্য। খবর টিবিএসের।

ছোট ব্যবসা গঠন করার সময় একজন উদ্যোক্তা তার সম্পদের সুরক্ষার সুবিধার পেতে চাইলে এক ব্যক্তি কোম্পানি (ওপিসি) হিসেবে নিবন্ধন নিতে পারেন। কারণ বৃহৎ কর্পোরেশনের মতোই ওপিসিরি দায় থাকে সীমিত, অন্যদিকে একক মালিকানার ব্যবসায় দায় থাকে সীমাহীন। এই সীমিত দায়সহ অন্যান্য সুবিধা থাকার পরও তেমন কেউ ওপিসি গঠনে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

২০২০ সালে সরকার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও সহজে কোম্পানি খুলে ব্যবসা করার জন্য কোম্পানি আইন সংশোধন করে এক ব্যক্তি কোম্পানি (ওপিসি) খোলার অনুমতি দেয়। পরে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে করমুক্তিও দেয়। কিন্তু তারপরও এক ব্যক্তি কোম্পানি খোলার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তেমন সাড়া দেখা যায়নি।

এক ব্যক্তি কোম্পানি হলো এমন প্রতিষ্ঠান যেখানে একজন ব্যক্তিই শেয়ারহোল্ডার থাকেন, এর নমিনিও থাকেন একজনই।

সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উদ্যোগটি বেশ কয়েকটি কারণে কাঙ্ক্ষিত ফল দিতে পারছে না। কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে, ন্যূনতম ২৫ লাখ ও সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন থাকার বাধ্যবাধকতা, ব্যাংকঋণ না পাওয়া ও ওপিসি হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার সুফল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় প্রচারণা না থাকা।

যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) তথ্য বলছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক ব্যক্তি কোম্পানির নিবন্ধন নেওয়ার হয়েছে মাত্র ১৭২টি। অথচ এ সময় পর্যন্ত নতুন প্রাইভেট ও পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে ১২ হাজার ৫০০টি।

আরজেএসসি সূত্র দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছে, গত ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ৪৮০ টি নতুন কোম্পানির নিবন্ধন দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান ছিল। এগুলোর মধ্যে এক ব্যক্তি কোম্পানির জন্য মাত্র ১৩টি আবেদন প্রক্রিয়া্ধীন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানি আইনে ওপিসির অন্তর্ভুক্তি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। কারণ আইনটি একক মালিকানাধীন ব্যবসাকেও কর্পোরেশনের মতোই সুরক্ষা দেয়। এর ফলে একক মালিকানাধীন ব্যবসা আনুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে যুক্ত হতে উৎসাহিত হয়।

বেশিসংখ্যক ছোট ও নতুন স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের আকৃষ্ট করার জন্য তারা ২৫ লাখ টাকা ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধনের সীমা তুলে দিতে বলছেন। তা না হলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের আনুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে যোগদান করতে উৎসাহিত করার জন্য কর হ্রাসের সুবিধাটি কাজে দেবে না বলে তারা মন্তব্য করেন।

সরকার চলতি অর্থবছরে ওপিসির জন্য করের হার এক বছর আগের ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ২২ শতাংশ করেছে।

কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী টিবিএসকে বলেন, ওপিসি ধারণাটি অন্যান্য অনেক দেশে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ কিছু উন্নত দেশ ওপিসির জন্য পরিশোধিত মূলধনের সীমা বেঁধে দেয় না। ওসব দেশে বিনিয়োগকারীরা সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে যেকোনো পরিমাণ বিনিয়োগ করে ওপিসি গঠন করতে পারেন।

অন্যদিকে ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের মতো দেশগুলোতে ওপিসি গঠনের জন্য তাদের নিজ নিজ মুদ্রায় অন্তত ১ লাখ রুপি পরিশোধিত মূলধন দেখাতে হয়।

প্রবীর নিয়োগী পরিশোধিত মূলধনের সীমা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে পরিশোধিত মূলধনের সর্বোচ্চ সীমা অনেক বেশি।

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ওপিসি গঠনের সুফল বিনিয়োগকারীদের জানানোর জন্য প্রচারণা চালানোর ওপর জোর দেন।

তিনি টিবিএসকে বলেন, 'বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এক ব্যক্তি কোম্পানির পরিমাণ অনেক বেশি। বাংলাদেশে নতুন করে বিধান করা হলেও এক ব্যক্তি কোম্পানি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো প্রচার বা প্রসারের কোনো উদ্যোগ নেই।'

'এর ফলে এ ধরনের কোম্পানির বিষয়ে অনেক বিনিয়োগকারী জানেন না। এছাড়াও এক ব্যক্তি কোম্পানির সুবিধাগুলোও অনেকে জানে না। ফলে আগ্রহ কম।'

কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার তানজীব-উল-আলম বলেন, একটি এক ব্যক্তি কোম্পানি খোলার ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তিই কোম্পানির একক শেয়ার হোল্ডার থাকেন। নমিনিও শুধু একজন রাখতে হয়। ওপিসি ও প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির মূল পার্থক্য হলো, প্রাইভেট কোম্পানি খোলার জন্য সর্বনিম্ন ৫০ লাখ টাকার মূলধন থাকতে হবে এবং সর্বনিম্ন দুইজন শেয়ারহোল্ডার থাকতে হবে।

তিনি বলেন, 'আমাদের দেশে কোম্পানির ধারণাটাই হলো "অনেক লোকের সমন্বয়ে" কোম্পানি করা। এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সরকারকে কাজ করতে হবে। এছাড়া ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকেও কাজ করতে হবে।'

তানজীব-উল-আলম আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যংকের উচিত দেশের ব্যাংকগুলোকে একটি নির্দেশনার মাধ্যমে এক ব্যক্তি কোম্পানির ঋণ নেওয়ার বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া। তাহলে দেশের ব্যবসা আরো প্রসারিত হতে সুবিধা হবে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম টিবিএসে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে লিখেছেন, একক মালিকানাধীন কোম্পানি ও ওপিসির একটি প্রধান পার্থক্য হলো, প্রথমটির সীমাহীন দায় থাকে এবং ব্যবসা ব্যর্থ হলে মালিক সর্বদাই তার সমস্ত সম্পদ হারানোর ঝুঁকিতে থাকেন। কিন্তু ওপিসিতে দায় সীমিত।

কাজেই এদিক থেকে ওপিসি সুবিধাজনক। কারণ ওপিসি গঠন করে একজন ব্যক্তি তার সম্পদ রক্ষা করতে পারেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বড়সংখ্যক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান একক মালিকানার। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আনুষ্ঠানিক কর্পোরেট সংস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয় না।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের ব্যবসাকে যখন আনুষ্ঠানিককরণের প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে তহবিল সংগ্রহের জন্য, তখন মালিক(দের) সাধারণত একে লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না, যা একটি দীর্ঘ ও বিপজ্জনক প্রক্রিয়া হতে পারে। কারণ একক মালিকানার প্রতিষ্ঠানের কাছে কখনও কখনও লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধন করার জন্য প্রয়োজনীয় সব নথি থাকে না।

ওপিসিগুলো প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হওয়ার জন্য আবেদন করছে

সূত্রমতে, ২০২১-২২ অর্থবছরে যে ১২৪টি এক ব্যক্তি কোম্পানি নিবন্ধন নিয়েছিল, তাদের মধ্য থেকে ২৩টি আবার এক ব্যক্তি কোম্পানি থেকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হওয়ার জন্য আবেদন করেছে।

এই কোম্পানিগুলোর একটি হলো স্টেপবিডি ওপিসি। রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় জুতা-স্যান্ডেল তৈরির জন্য গত বছরের মার্চে ওপিসি হিসেবে নিবন্ধন নেয় স্টেপবিডি।

কিন্তু মাত্র দেড় বছরের মাথায় গত সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটিকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করার জন্য আরজেএসসিতে আবেদন করেছেন কোম্পানিটির মালিক আলামিন দেওয়ান।

আলামিন টিবিএসকে বলেন, 'গত বছর কোম্পানি নিবন্ধনের পর কোম্পানি পরিচালনার জন্য কার্যক্রম শুরু করি। কোম্পানির মূলধন ছিল ২৮ লাখ টাকা। কিন্তু যে ব্যবসা শুরু করতে চাই, সেটির জন্য প্রয়োজন অন্তত ২ কোটি টাকা।'

'ওপিসি হিসেবে স্টেপবিডি ওপিসির নামে একটি বেসরকারি ব্যাংকে ১ কোটি টাকা ঋণের আবেদন করি। কিন্তু প্রাথমিক অনুসন্ধানে ব্যাংকটি ঋণের আবেদন বাতিল করে। পরবর্তীতে অন্য একটি বেসরকারি ব্যাংকে আবেদন করলে সেটিও ঋণের আবেদন বাতিল করে। এরপর আরেকটি সরকারি ব্যাংকে আবেদন করলে সেখানেও বাতিল হয়।'

আলামিন বলেন, ব্যংকগুলো ঋণের আবেদন বাতিল করার যথাযথ কোনো কারণ জানায়নি।

তবে কয়েকটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা তাকে বলেছেন, এক ব্যক্তির কোম্পানিতে যিনি পরিচালক, তিনিই চেয়ারম্যান, পরিচালক, এমডি বা কোম্পানির সবকিছু। এ কারণে ব্যাংক ঋণ দিতে ভরসা পায়নি।

'ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে মর্টগেজ দেওয়ার পাশাপাশি গ্যারান্টর নিয়োগ আবশ্যক। কোম্পানির নামে ঋণ নেওয়ার জন্য শেয়ারহোল্ডার, পরিচালক বা অন্য কোনো ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে গ্যারান্টর হিসেবে নিয়োগর প্রথা চালু আছে। কিন্তু সেটি আমরা করতে পারিনি,' যোগ করেন ব্যবসায়ী আলামিন দেওয়ান। 'এছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তিও এখানে বিনিয়োগ করতে চায়নি। এখন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির অনুমোদন নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাসোসিয়েশন অভ ব্যাংকারস বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান এবং ব্র্যাক ব্যাংকের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আরএফ হোসেন টিবিএসকে বলেন, এক ব্যক্তি কোম্পানি হওয়ার কারণে ব্যাংক থেকে ঋণ পাবে না, এরকম কোনো সিদ্ধান্ত বা পলিসি কোনো ব্যাংকের নেই।

ব্যাংকগুলো ঋণ দেওয়ার আগে সাধারণত ঋণ ফেরত দেওয়ার সক্ষমতা যাচাই করে। সেখানে কোনো ঘাটতি পেলে হয়তো ঋণ দেয় না বলে মন্তব্য করেন সেলিম আরএফ হোসেন।

তিনি বলেন, 'এক ব্যক্তি কোম্পানির বিধান অবশ্যই দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো। তবে এসব কোম্পানি যাতে ভালোভাবে পরিচালিত হতে পারে, সেজন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিতে হবে।'

অন্যান্য দেশে ওপিসির ট্রেন্ড

ভারতে ২০১৩ সালে এক ব্যক্তি কোম্পানি চালু করার জন্য আইন করা হয়।

ইন্ডিয়ান মিনিস্ট্রি অভ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের ওয়েবসাইটের তথ্য থেকে জানা যায়, ২০২১ সালে দেশটিতে প্রায় ৩৪ হাজার এক ব্যক্তি কোম্পানির নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানে ২০০৬ সাল থেকে এক ব্যক্তি কোম্পানি খোলার অনুমোদন দেওয়া হয়। সেখানে গত বছর ১১ হাজারের মতো এলএলসি বা ওপিসি অনুমোদন পেয়েছে।

এক ব্যক্তি কোম্পানি সবচেয়ে বেশি জাপন ও চীনে।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বিজনেস রিভিউ'র তথ্য বলছে, জাপানে প্রতি বছর যে পরিমাণ কোম্পানির বিন্ধন নেওয়া হয়, তার প্রায় ৩১ শতাংশ ওপিসি। আর চীনে প্রতিবছর যে পরিমাণ নিবন্ধন হয়, তার প্রায় ২৭ শতাংশ ওপিসি। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর প্রায় ১৩ শতাংশ, সুইজারল্যান্ডে প্রায় ১১ শতাংশ ওপিসির নিবন্ধন হয়।

আছে দুশ্চিন্তাও

পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর টিবিএসকে বলেন, এক ব্যক্তি কোম্পানি গঠন করার বিষয়টি ভালো। তবে এর একটি খারাপ দিকও আছে।

তিনি বলেন, ২০২১ সাল থেকে যতগুলো এক ব্যক্তি কোম্পানি নিবন্ধন নিয়েছে তাদের কয়টি কোম্পানি অপারেশনে এসছে সেটির কোনো হিসাব কারও কাছে নেই। দেখা যাবে টাকা পাচার বা কালো টাকা কাজে লাগানোর জন্য অনেকেই এ ধরনের কোম্পানি গঠন করছে।

এ ধরনের কোম্পানি কিভাবে অর্থনীতীতে ভূমিকা রাখেতে পারে, সেজন্য সরকারেরও কোনো নির্দিষ্ট রোডম্যাপ নেই বলে মন্তব্য করেন আহসান এইচ মনসুর। এছাড়া এসব কোম্পানি নিবন্ধন নেওয়ার পর কী কাজ করছে, তা মনিটরিং করারও কোনো উদ্যোগ নেই।

'সরকারের সংশ্লিষ্টদের উচিত এসব বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। কারণ অনেক দেশেই এক ব্যক্তি কোম্পানির কাছ থেকে সরকার অনেক রাজস্ব পাচ্ছে,' বলেন তিনি।

আরজেএসসির রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত সচিব) শেখ শোয়েবুল আলম এনডিসি বলেন, 'ওপিসি খোলার পদ্ধতি খুবই সহজ এবং দ্রত সম্পন্ন করা যায়। অন্যান্য কোম্পানি গঠনের জন্য যে ধরনের কার্যক্রম রয়েছে, সেগুলোর চেয়ে এক ব্যক্তি কোম্পানি গঠনের পদ্ধতি অনেকটা সহজ।'

গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে নিবন্ধনের হার একটু বেড়েছে বলে জানান তিনি। আগামীতে ওপিসি হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার জন্য আবেদনের পরিমাণ আরও অনেক বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন শোয়েবুল আলম।

নিউজের লিঙ্ক



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top