জিডিপির প্রতিবেদন প্রকাশে তাগিদ আইএমএফের

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২ নভেম্বর ২০২২ ১৯:১১; আপডেট: ১৭ মে ২০২৪ ১৯:০৩

ফাইল ছবি

মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য তাগিদ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মূদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। খবর টিবিএসের।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে তাগিদ দেয় বৈশ্বিক দাতাসংস্থাটির বাংলাদেশে সফররত প্রতিনিধি দল। তা ছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশে বিলম্বের কারণও জানতে চেয়েছে।

বৈঠকে আইএমএফ এর পক্ষে নেতৃত্ব দেন সংস্থার মিশন প্রধান রাহুল আনন্দ। পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে ন্যাশনাল একাউন্টিং উইং পরিচালক জিয়াউদ্দিন ছাড়াও বিবিএসএর কয়েকজন কর্মকর্তা অংশ নেন।

মতিয়ার রহমান টিবিএসকে বলেন, 'সরকার জিডিপির ভিত্তিবছর রিবেজিংয়ের কাজ করছে; এতে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে আইএমএফ'।

বিদ্যমান জিডিপি নির্ধারণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিবিএস পরিচালক বলেন, অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে পরিসংখ্যান ব্যুরো সারা বছরের সাময়িক জিডিপির হিসাব করে থাকে। 'আর বছর শেষ হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে প্রকাশ করা হয় চূড়ান্ত হিসাব'।

তিনি বলেন, প্রতিনিধি দলটি এই কাজের অগ্রগতির তথ্য জানতে পরিসংখ্যান ব্যুরোতে এসেছিল। ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দিতে সংস্থাটির সাথে যে আলোচনা চলছে, তার সঙ্গে পরিসংখ্যান ব্যুরোর এই সভার কোন সম্পর্ক নেই বলেও তিনি জানান।

তবে প্রতি প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির তথ্য প্রকাশে কিছু সমস্যা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন মতিয়ার রহমান। তিনি বলেন, 'বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে এখন বছরে একবার উৎপাদনের তথ্য সংগ্রহ করা হলেও, তখন প্রতি প্রান্তিকের প্রতিবেদনের জন্য (তিন মাস অন্তর) চার বার তথ্য নিতে হবে। এ কারণে অন্যান্য সংস্থাগুলোরও প্রস্তুতি থাকতে হবে'।

'সবাইকে এই বিষয়ে আমরা প্রস্তুত করছি। দক্ষিণ এশীয়া প্রায় সব দেশেই প্রতি প্রান্তিকে জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে। আমাদেরও প্রান্তিকপ্রতি জিডিপির তথ্য প্রকাশ করতে হবে। তবে এতে কতটা সময় লাগবে- তা বলা যাচ্ছে না। আমরা এই সব বিষয় আইএমএফকে জানিয়েছি'।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগস্ট মাসে ‍মূল্যস্ফীতির তথ্য দিতে দেরি হয়েছে কেন– এটার কারণ জানতে চেয়েছে প্রতিনিধি দল। আমরা বলেছি, "তথ্য প্রকাশ করতে আমাদের সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে অনুমতি লাগে, এটা পেতে দেরি হয়েছে। এই কারণেই মূলত দেরি হয়েছে; এছাড়া অন্য কোনো কারণ নেই।"

প্রসঙ্গত, প্রতি মাসের শেষের দিকে মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন তৈরি এবং পরবর্তী মাসের প্রথম সপ্তাহে তা প্রকাশের রীতি থাকলেও আগম্ট মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য সেপ্টেম্বরেও প্রকাশ হয়নি।

অক্টোবর মাসে পরিসংখ্যান ব্যুরোর পক্ষ থেকে দুই মাসের তথ্য প্রকাশের আগেই আগস্টে মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়ে গেলেও সেপ্টেম্বরে তা কিছুটা কমে আসে বলে জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। বড় লাফ দিয়ে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ায় তথ্য প্রকাশে গড়িমসি করা হয়েছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।

বৈঠকে অংশ নেয়া একটি সূত্র জানায়, দেশে দারিদ্র্য হার ও কর্মসংস্থানের সর্বশেষ তথ্যও জানতে চেয়েছে আইএমএফ।

নিউজের লিঙ্ক



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top