৫১ টাকা বৃদ্ধি ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারে

আবারো দাম বেড়েছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি)। দেশে ভোক্তাপর্যায়ে এই গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে ৫১ টাকা। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) নির্ধারিত এ দাম গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকেই কার্যকর হয়েছে।

নতুন ঘোষণা অনুযায়ী ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫১ টাকায়। গত মাসে একই ওজনের সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ২০০ টাকা।

জানা গিয়েছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এ সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। দেশে গত বছরের ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়। এর পর থেকে প্রতি মাসে দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। গত মাসেও ১২ কেজি এলপিজির দাম ৩৫ টাকা কমানো হয়েছিল।

নভেম্বরের জন্য গতকাল সকালে ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম জুমে এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও জবাব দেন। নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দিয়ে এলপিজি সিলিন্ডার কিনতে হয়—এমন অভিযোগের বিষয়ে আবদুল জলিল বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া সহজ হয়। কিন্তু সেটা পাওয়া যায় না। অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে আবদুল জলিল বলেন, ১৮টি কোম্পানির আমদানির ঋণপত্র দেখে ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হারের গড় হিসাব করা হয়। এতে আগের মাসের চেয়ে ডলারের বিপরীতে টাকার মান প্রতি ডলারে ৩৯ পয়সা কমেছে।

দাম ঘোষণার সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির সদস্য আ ব ম ফারুক, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ।

বিইআরসি জানায়, সরকারি এলপিজির দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বেসরকারি খাতে ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি কেজি এলপিজির নতুন দাম ১০৪ টাকা ২৬ পয়সা। এ হিসাবে বিভিন্ন পরিমাণের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে। এছাড়া গাড়িতে ব্যবহূত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৫৮ টাকা ২৮ পয়সা, যা আগে ছিল ৫৫ টাকা ৯২ পয়সা।

ক্রমবর্ধমানভাবে দেশে এলপিজির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে তা ১০ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। আর সে চাহিদা অনুযায়ী গ্রাহকের কাছে এলপি গ্যাস সরবরাহ করছে মোট ১৮টি কোম্পানি। এর মধ্যে সরকারি এলপি গ্যাস কোম্পানি সরবরাহ করছে কেবল ২০ হাজার টন। বাকিটা সরবরাহ করছে বেসরকারি এলপিজি কোম্পানিগুলো।