জেট ফুয়েলের দাম বেড়েছিল দ্বিগুন, কমেছে মাত্র পাঁচ টাকা

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২২ ২২:৫২; আপডেট: ১৯ মে ২০২৪ ১৬:৩২

ফাইল ছবি

উড়োজাহাজের জ্বালানি জেট ফুয়েলের দাম ছিল ৪৬ টাকা। ৪৬ টাকা থেকে মূল্য বাড়িয়ে করা হয় ১৩০ টাকা। যা ছিল দ্বিগুনেরও বেশী। এখন কমানো হযেছে লিটারে নামমাত্র পাঁচ টাকা। খবর টিবিএসের।

অবশেষে লিটার প্রতি ৫ টাকা কমেছে উড়োজাহাজের জ্বালানি জেট ফুয়েলের দাম।

অভ্যন্তরীণ রুটের জন্য জেট ফুয়েলের দাম ১৩০ টাকা থেকে কমিয়ে নতুন দর ঠিক করা হয়েছে ১২৫ টাকা আর আন্তর্জাতিক রুটের জন্য ৯৬ সেন্ট, যা আগে ছিল ১ ডলার।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বৃহস্পতিবার নতুন এ দর ঘোষণা করে। আজ শুক্রবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

তবে জেট ফুয়েলের দাম ৫ টাকা কমলেও একে পর্যাপ্ত বলছে না দেশি এয়ারলাইনসগুলো।

দেশি এভিয়েশন অপারেটরদের জোট বাংলাদেশ এভিয়েশন অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (এওএবি) সেক্রেটারি জেনারেল মো. মফিজুর রহমান বলেন, "জেট ফুয়েলের দাম লিটারে এক টাকা কমলেও আমাদের জন্য অনেক। আমাদের থেকে যেহেতু প্রেসার ছিল তাই তারা রুটিন হিসেবে এটি কমিয়েছেন। এটাকে ঠিক কমানো বলা যাবে না।"

"কিছুদিন আগে অযৌক্তিকভাবে যে ৫ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছিল সেটিকেই আবার সমন্বয় করা হয়েছে। তবে আমরা যে লেভেলে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে বলেছিলাম সেটা করা হয়নি। এটা আমাদের এক্সপেকটেশনকে ফুলফিল করে না," বলেন তিনি।

দুই বছর আগে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জ্বালানি জেট ফুয়েল প্রতি লিটারের দাম ছিল মাত্র ৪৬ টাকা। কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ক্রমাগত ফুয়েলের দাম লিটারপ্রতি ১৩০ টাকায় পৌঁছায়, যা ১২৭ শতাংশ বৃদ্ধি।

গত ৬ নভেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের কাছে এওএবি এ সমস্যা সমাধানে তিনটি প্রস্তবনা দিয়েছিল- দেশীয় প্রাইভেট সেক্টর এয়ারলাইনস এবং হেলিকপ্টার অপারেটরদের জন্য সরাসরি পারটেক্স পেট্রোলিয়াম থেকে জ্বালানী ক্রয় এর অনুমোদন, প্রয়োজনে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে বিদেশ থেকে জেট ফুয়েল আমদানির অনুমোদন প্রদান, অভ্যন্তরীণ জ্বালানী মূল্য আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জ্বালানী মূল্যের সাথে সমন্বয় করা।

এছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের তুলনায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জন্য জেট ফুয়েল ৩০-৪০% বেশী মূল্যে ক্রয় করতে হচ্ছে এবং বাংলাদেশে অতি মূল্যায়িত জেট ফুয়েলের কারণে এভিয়েশন খাত অস্তিত্বের সংকটে নিপতিত হচ্ছে বলে দাবি করেছিল এভিয়েশন অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি)।

জেট ফুয়েল সাধারণত বিদেশ থেকে আমদানি করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন। আর তা এককভাবে এয়ারলাইনগুলোতে সরবরাহ করে পদ্মা অয়েল লিমিটেড।

সম্প্রতি প্রথম বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে জেট ফুয়েল উৎপাদন শুরু করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পারটেক্স পেট্রোলিয়াম। প্রতিদিন ২ হাজার ৮শ ব্যারেল জেট ফুয়েল উৎপাদন করবে প্রতিষ্ঠানটি।

এয়ারলাইনগুলোর হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন ৯ হাজার ব্যারেল জেট ফুয়েলের চাহিদা রয়েছে।

এয়ারলাইনসগুলো বলছে, অভ্যন্তরীণ জ্বালানির অতি মূল্যায়নের ফলে উড়োজাহাজের টিকিটের দাম যাত্রীর ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ফলে যাত্রী সংখ্যা সাধারণ চাহিদার এক তৃতীয়াংশ কমে গেছে।

এর ফলে সরকারের সার্বিক কর আদায় প্রতি মাসে ৭ কোটি ২০ লাখ টাকারও কম হবে।

টিবিএসের প্রতিবেদনটির লিঙ্ক



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top