আবারো বাড়ল সয়াবিন তেল ও চিনির দাম
রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২২ ২১:৩৭; আপডেট: ৮ মে ২০২৫ ১২:৫৪
-2022-11-18-10-37-33.jpg)
আরও এক দফায় বাড়ল সয়াবিন তেল ও চিনির দাম। সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১২ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯০ টাকায় এবং চিনির দাম কেজিতে ১৩ টাকা বেড়ে ১০৮ টাকায়। খবর বণিক বার্তার।
বুধবার বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর দেয়া চিঠিতে মূল্যবৃদ্ধির কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। চিঠির বিষয় হিসেবে ‘সর্বোচ্চ মূল্য সমন্বয়করণ’ কথাটি উল্লেখ করা হয়। এর আগে ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেন সংগঠন দুটির নেতারা।
কেবল সয়াবিন তেল ও চিনির দামই নয়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় খোলাবাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রি বা ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় বিক্রি হওয়া প্রতি কেজি খোলা আটার দাম ৬ টাকা ও প্যাকেট আটার দাম সাড়ে ৪ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২০ নভেম্বর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে এরই মধ্যে বুধবার মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দাম বাড়ার ফলে ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় প্রতি কেজি খোলা আটা ভোক্তা পর্যায়ে ২৪ টাকায় বিক্রি হবে। এখন প্রতি কেজি খোলা আটা ১৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে প্যাকেটের আটা প্রতি কেজিতে সাড়ে ৪ টাকা বাড়িয়ে দুই কেজি প্যাকেটের আটা বিক্রি হবে ৫৫ টাকায়, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকায়।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম মোল্লা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে ভোজ্যতেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। ১ নভেম্বর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে মূল্য সমন্বয়ের আবেদন করা হয়। দুই দফায় ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন আলোচনার পর মূল্যবৃদ্ধিতে একমত পোষণ করে। এ হিসেবে এক লিটার ও পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম হবে যথাক্রমে ১৯০ ও ৯২৫ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের লিটার ১৭২ টাকা ও পাম অয়েলের দাম ১২১ টাকা। চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও ডলারের বিপরীতে টাকার অস্বাভাবিক দরপতনের ফলে মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর আগে গত ২৩ আগস্ট ৭ টাকা দাম বেড়ে সয়াবিন তেলের লিটার হয় ১৯২ টাকা। ৪ অক্টোবর ১৪ টাকা দাম কমিয়ে ১৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সচিব স্বাক্ষরিত চিঠিতেও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে মূল্য সমন্বয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ৩ নভেম্বর তারা ট্যারিফ কমিশনের কাছে আবেদন করে। পরে দুই দফায় আলোচনার পর মূল্যবৃদ্ধিতে একমত হয় ট্যারিফ কমিশন। এ হিসেবে কেজি প্রতি পরিশোধিত চিনির দাম ১০৮ টাকা আর খোলা চিনির দাম দাঁড়াচ্ছে ১০২ টাকা।
বেশ কিছুদিন ধরেই বাজারে চিনির সংকট দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম বাড়ানোর জন্য কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছিল। কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মিল থেকে চিনি দেয়া হচ্ছিল না। এখন দাম বাড়ানো হয়েছে। এবার হয়তো সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
বণিক বার্তার প্রতিবেদনটির লিঙ্ক
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: