পণ্যমূল্য ও অর্থপ্রাপ্তির ব্যবধান বেশি হোম টেক্সটাইল খাতে

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:২৬; আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৫০

ছবি: সংগৃহিত

দেশের অন্যতম রপ্তানিযোগ্য পণ্য হোম টেক্সটাইল। এই খাত থেকে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে বাংলাদেশ। তবে দেশের এই শীর্ষ রপ্তানিযোগ্য খাতটির পণ্যমূল্যের সাথে অর্থপ্রাপ্তির বিস্তর ফারাক পরিলক্ষিত হয়েছে।

বিশেষ করে গত অর্থবছরে (২০২১-২২) প্রধান খাতগুলোর প্রায় সবক’টিতেই রফতানীকৃত পণ্যের মূল্য ও অর্থপ্রাপ্তির মধ্যে বড় ধরনের ব্যবধান দেখা গিয়েছে। এ ব্যবধান সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছে হোম টেক্সটাইল খাতে।

প্রতি অর্থবছরে দেশের রফতানি খাতের অর্থপ্রাপ্তির পরিসংখ্যান নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্সপোর্ট রিসিপ্টস অব গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ২০২১-২২ শীর্ষক গত সপ্তাহে প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে দেশ থেকে রফতানি হওয়া পণ্যমূল্য ও এর বিপরীতে দেশে আসা রফতানি আয়ের পার্থক্য সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে হোম টেক্সটাইল খাতে। খাতটিতে গত অর্থবছরে রফতানীকৃত পণ্যমূল্যের প্রায় ৫৮ শতাংশ অর্থ দেশে আসেনি। পোশাক খাতে রফতানি মূল্য ও অর্থপ্রাপ্তির ব্যবধান ২৩ শতাংশের বেশি। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের পার্থক্য ৪১ শতাংশ। পাট ও পাটজাত পণ্যে পার্থক্য প্রায় ১০ শতাংশ।

রফতানীকৃত পণ্যমূল্য ও এর বিপরীতে পাওয়া অর্থের মধ্যে এত বড় ব্যবধান নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। এক্ষেত্রে অর্থ পাচার হয়েছে বলে সন্দেহ করছেন তাদের অনেকেই। আবার এক্ষেত্রে পরিসংখ্যানগত ভুলের বিড়ম্বনা থাকতে পারে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।

দেশের মোট রফতানিতে তৈরি পোশাকের অবদান ৮২ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিশ্ববাজারে ৪ হাজার ২৬১ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে দেশে পোশাক রফতানিবাবদ অর্থ এসেছে ৩ হাজার ২৬৮ কোটি ডলার। সে হিসেবে গত অর্থবছরে তৈরি পোশাকের রফতানীকৃত মূল্যের ২৩ দশমিক ২৯ শতাংশ দেশে আসেনি।

রফতানি মূল্য ও এর বিপরীতে অর্থপ্রাপ্তির পরিসংখ্যানগত পার্থক্যের পেছনে অসাধু বাণিজ্যিক চর্চা দায়ী বলে সন্দেহ করছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের বক্তব্য হলো বিশ্বের অন্য অনেক স্থানের মতো বাংলাদেশেও অর্থ পাচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। পণ্য রফতানি করে অর্থ দেশে না আনার অভিযোগ রয়েছে অনেক। এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশ ব্যাংকের নজর এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ কম। এর পরও নানা ফাঁকফোকর গলে এমন কাজ হয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এজন্য ব্যাংকের নজরদারি ব্যবস্থা আরো শক্ত হওয়া প্রয়োজন। আবার কভিডকালের নানা দুর্বিপাকেও রফতানীকৃত পণ্যের মূল্য ও প্রাপ্ত অর্থের পার্থক্য বেড়েছে। এছাড়া পরিসংখ্যানেও গরমিল থাকতে পারে। তবে যত কারণই থাকুক না কেন, এত বড় ব্যবধান খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

পোশাকপণ্য প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এ বিষয়ে বণিক বার্তাকে বলেন, ‘পার্থক্য এত বেশি হওয়ার কথা নয়। আমাদের এখন অনেক ডেফার্ড পেমেন্ট (বিলম্বিত মূল্য পরিশোধ) মেনে নিতে হয়। পণ্য জাহাজীকরণের ৩০ থেকে ৯০ দিন পরও অর্থ পাওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অনেক ক্রয়াদেশের ক্ষেত্রে এমন হয়। পণ্য জাহাজীকরণ ও অর্থ গ্রহণের সময়ে পার্থক্য হতেই পারে। ১০০টি ঋণপত্র খোলা হলে ৯৫ শতাংশেই দেখা যায় শতভাগ অর্থ পরিশোধ হয়েছে। ব্যাংক চার্জ কাটার কারণে অর্থপ্রাপ্তি কম হতে পারে। ডিসকাউন্টের ক্ষেত্রে আমরা ৫ শতাংশ পর্যন্ত করতে পারি। এর বেশি হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হয়। এটা নিশ্চিত যে অর্থ পরিশোধ না হওয়ার কোনো কারণ নেই। এত কম অর্থ এলে আমরা কেউ বাঁচতাম না। কাজেই এটা অসম্ভব ব্যাপার।’

বাংলাদেশ ব্যাংক ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, রফতানি ও অর্থপ্রাপ্তির পার্থক্য সবচেয়ে বেশি হোম টেক্সটাইল খাতে। গত অর্থবছরে রফতানীকৃত হোম টেক্সটাইল পণ্যের অর্থমূল্য ছিল ১৬২ কোটি ডলার। বিপরীতে পাওয়া অর্থের পরিমাণ ৬৮ কোটি ডলার। এ হিসেবে রফতানি ও প্রাপ্ত অর্থের পার্থক্য ৫৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

দেশের হোম টেক্সটাইল রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সবই বস্ত্র খাতের সুতা ও কাপড় উৎপাদনকারী মিল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সদস্য। জানতে চাইলে সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘হোম টেক্সটাইলে রফতানি ও অর্থপ্রাপ্তির পার্থক্য এত বেশি হয় কী করে? তাহলে বাকি টাকা গেল কোথায়? আমার মনে হয় কোনো ভুল আছে। রফতানির পরিসংখ্যানটা এনবিআর ও ইপিবি থেকে পাওয়া যায়। অর্থপ্রাপ্তির তথ্যটি বাংলাদেশ ব্যাংকের। দুই পরিসংখ্যানে এত পার্থক্য থাকার কথা নয়। এ ধরনের ক্ষেত্রে বিষয়টি মানি লন্ডারিংয়ে পড়ে যাওয়ার কথা। ডিসকাউন্ট ৫ থেকে ১০ শতাংশ হতে পারে, এর বেশি নয়। এছাড়া অনেক সময় বন্দরে পণ্য পড়ে থাকে, ছাড় করে না। অনেক সময় ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে গেলে পণ্য নেয় না। হোম টেক্সটাইলের বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। এত বড় পার্থক্য হওয়ার কথা নয়। আমার কাছে পার্থক্যটা অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। রফতানি হয়েছে, কিন্তু কোনো অর্থ পরিশোধ হয়নি। অনেক সময় রফতানির অর্থ দাবি মীমাংসায় অনেক সময় লেগে যায়। দেখা যায়, জাহাজীকরণের ছয় মাস পরে অর্থ পরিশোধ হয়।’

গত অর্থবছরে রফতানির অর্থমূল্য বিবেচনায় তৃতীয় বৃহৎ খাত ছিল চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। পণ্যটি রফতানির অর্থমূল্য ছিল ১২৪ কোটি ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, রফতানির বিপরীতে প্রাপ্ত অর্থ ৪১ শতাংশ কম। এ হিসেবে গত অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানির প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ ৭৩ কোটি ডলার।

জানতে চাইলে লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল মোমেন ভূইয়া বণিক বার্তাকে বলেন, ‘অনেক সময় ঋণপত্রে পণ্য জাহাজীকরণের সময় থাকে ১২০ দিন পর্যন্ত। অর্থাৎ যেদিন ঋণপত্র খোলা হবে সেদিন থেকে ১২০ দিন পর অর্থ পরিশোধ হয়। কিন্তু তার পরও পার্থক্য এত হওয়ার কথা নয়। অনেক সময় নানা কারণে কম অর্থ পরিশোধে ক্রেতাদের পক্ষ থেকে ডিসকাউন্ট বা অন্য দাবি থাকে, সেগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে গ্রহণ করা হয়। রিসিভেবল থাকতে পারে, কিন্তু তা পরবর্তী বছরে সমন্বয় হওয়ার কথা। একটা পার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু এত বড় হওয়ার কোনো কারণ দেখি না।’

সোনালি আঁশখ্যাত পাট ও পাটজাত পণ্য বাংলাদেশ থেকে রফতানি হয় বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। একসময় একমাত্র প্রধান রফতানি পণ্যটির অংশ এখন মোট রফতানিতে অনেক কম। গত অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানির অর্থমূল্য ছিল ১১২ কোটি ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানিবাবদ প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ ১০১ কোটি ডলার। এ হিসেবে রফতানি ও প্রাপ্ত অর্থের পার্থক্য প্রায় ১০ শতাংশ।

বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএসএ) ভাইস চেয়ারম্যান মৃধা মনিরুজ্জামান মনির বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমাদের পাট খাতে সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। অর্থ পরিশোধ হয় না, এমন ঘটনা আমাদের খাতে খুবই বিরল। অর্থ পরিশোধ না হওয়া বা কম আসার ঘটনা খুবই কম। পাট ও পাটজাত পণ্যের ক্রেতাও সীমিত, এ খাতের ক্রেতাও হাজার হাজার নয়, যার কারণে অর্থ পরিশোধ না হওয়ার ঘটনা খুবই কম। অনেক সময় আমরা পণ্য জাহাজীকরণের পর ক্রেতা অর্থ পরিশোধ করে চালান ছাড় করেন। ক্রেতার পক্ষ থেকে অনেক সময় অর্থ পরিশোধ ডেফার্ড হয়। দুই মাস পরে অর্থ পরিশোধ হয়। এ খাতে ডিসকাউন্ট খুব কম।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ইপিবি ও বাংলাদেশ ব্যাংকসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এনবিআরের মাধ্যমে পাওয়া ইপিবির তথ্য পণ্য জাহাজীকরণের। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য রফতানি বাবদ প্রত্যাবাসিত অর্থের। এ দুই তথ্যে একটা পার্থক্য থাকে। বিভিন্ন কারণে কিছু অর্থ হয়তো ফেরত আসে না। পার্থক্য অনেক বেশি হলে তার কারণ খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।

জানা গিয়েছে, নিয়মিতভাবেই রফতানির উদ্দেশ্যে জাহাজীকৃত পণ্যের পরিসংখ্যান প্রকাশ করে ইপিবি। আর সে রফতানির বিপরীতে আয় প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাণিজ্য খাতসংশ্লিষ্ট ও বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যমতে, বাণিজ্য বিরোধের প্রেক্ষাপটে মূল্যহ্রাসের কারণে এ দুই পরিসংখ্যানে পার্থক্য থাকতেই পারে। সেক্ষেত্রে রফতানির বিপরীতে প্রত্যাবাসিত অর্থের পরিমাণও কম হতে পারে। তবে তা কোনোভাবেই ১০ শতাংশের বেশি হওয়ার সুযোগ নেই। আবার অর্থ পরিশোধের সময়সীমাও বাড়তে পারে। তবে তা নির্ধারিত সময়ে সমন্বয় হয়ে যায়। সব মিলিয়ে রফতানির বিপরীতে অর্থপ্রাপ্তির পার্থক্য খুব বেশি হওয়ার কথা নয়।


এক্ষেত্রে অর্থ পাচারসহ অনৈতিক ব্যবসায়িক চর্চা বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে বলে স্বীকার করে নিলেও ব্যবসায়ীরা বলছেন, রফতানি হওয়া পণ্য এবং সেগুলোর বিপরীতে প্রাপ্ত অর্থের পার্থক্য হওয়ার কারণ হলো অনেক সময়েই দেখা যায়, জাহাজীকরণের পরেও ক্রেতাপক্ষ ডিসকাউন্ট চেয়েছে। বিধান আছে ১০ শতাংশের বেশি ডিসকাউন্ট করা যাবে না। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, রফতানিকারকদের দরকষাকষির সক্ষমতায় ঘাটতির কারণে ডিসকাউন্টের হার অনেক বেড়ে যায়। এছাড়া সঠিক সময়ে পণ্য না দেয়ার কারণে বা মান যথাযথ না হওয়ার কারণেও ক্রেতারা ডিসকাউন্ট চেয়ে বসে। আবার নানা সময় দেখা গিয়েছে, ক্রেতা কোনো না কোনো কারণে পণ্যের চালান গ্রহণই করেনি। অর্থাৎ ডেলিভারি না নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ ধরনের ক্ষেত্রেও দেখা যায়, রফতানি হওয়া পণ্যের বিপরীতে কোনো অর্থই আসেনি।

ইপিবি সূত্র বলছে, রফতানির তথ্য প্রকাশ করা হয় শুল্ক কর্তৃপক্ষ পর্যায়ের পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে। রফতানি ও রফতানির বিপরীতে প্রাপ্ত অর্থের মধ্যে গরমিল থেকে যাওয়ার বেশকিছু কারণ আছে। এর একটি হলো সময়সীমা। ইপিবির পরিসংখ্যানগুলো বন্দরে পণ্যের চালান জাহাজীকরণভিত্তিক। আর বাংলাদেশ ব্যাংক পরিসংখ্যান প্রকাশ করে বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে পাওয়া অর্থের হিসাবের ভিত্তিতে। রফতানি হওয়া পণ্য আমদানিকারকের হাতে পৌঁছার পর পরিশোধিত অর্থ বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকে প্রত্যাবাসন হলে সেটিকেই এক্সপোর্ট রিসিপ্ট হিসেবে বিবেচনায় নেয়া হয়। এক্ষেত্রে পণ্য জাহাজীকরণ ও অর্থপ্রাপ্তির সময়ের ব্যবধানের কারণেও দেশে আসা অর্থের পরিমাণ কমে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

এছাড়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক শর্তও রফতানির বিপরীতে প্রাপ্ত অর্থের মধ্যে ব্যবধান তৈরি করে দিতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, রফতানির বিল অব এন্ট্রিতে ঘোষিত মোট মূল্যের একটি অংশ চালানের বীমা বাবদ বা পরিবহন খরচ বাবদ কেটে রাখার কথা রয়েছে। এ কারণে যখন অর্থ প্রত্যাবাসন হয় তা একটি নির্ধারিত অংশ বাদ দিয়ে আসে। সব মিলিয়েই রফতানি ও প্রাপ্ত অর্থের মধ্যে পার্থক্য থেকে যাচ্ছে। এ পার্থক্য কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে।

বণিক বার্তার প্রতিবেদনটির লিঙ্ক



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top