আমার বয়স হয়েছে, এতবার পার্টির দায়িত্বে থাকা ঠিক না

রাজটাইমস ডেস্ক:  | প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:৪৫; আপডেট: ১১ মে ২০২৫ ০১:৩৭

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মনে রাখতে হবে আমার বয়স হয়েছে। এতবার আমার মনে হয় একটা পার্টির দায়িত্বে থাকা ঠিক না। তারপরেও যেহেতু এখন সারা বিশ্বব্যাপী একটা দুঃসময় জন্যই আমি হয়তো মানা করিনি।

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে গণভবনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা দোয়া করবেন। আমাকে আবার আপনারা নির্বাচিত করেছেন। এতবার আমার মনে হয় একটা পার্টির দায়িত্বে থাকা ঠিক না। তারপরেও এখন যেহেতু সারা বিশ্বব্যাপী একটা দুঃসময়। বিশ্বব্যাপী দুঃসময়ের জন্যই আমি হয়তো মানা করিনি। কিন্তু আমার বয়স হয়েছে, এটা মনে রাখতে হবে।

গণভবনে নেতাকর্মীদের স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যাই হোক আপনারা এসেছেন কষ্ট করে। গণভবন আপনাদেরই ভবন। এটার নাম আব্বা দিয়েছেন গণভবন, কারণ এটা জনগণেরই ভবন।’

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জনগণের জন্য কাজ করে এবং আওয়ামী লীগের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের মানুষের আজকে ভাগ্য ফিরে এসেছে। প্রথমবার সরকার যখন গঠন করি, আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল কেউ কুঁড়ে ঘরে থাকবে না। ‍কুঁড়ে ঘরে কেউ ছিল না, একটা টিনের ঘর দিতে পারলেও আমরা দিয়েছিলাম। আর এখন আমরা আধাপাকা ঘর তৈরি করে দিচ্ছি।

নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দয়া করে আপনারা আপনাদের এলাকায় খোঁজ নেবেন। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে এটা আপনাদের দায়িত্ব যে, আপনার এলাকায় কোনো ভূমিহীন পরিবার বাদ পড়লো কি না।

তিনি আরও বলেন, প্রতি জেলা-উপজেলায় আমরা আওয়ামী লীগের অফিস করে দিতে চাই। প্রত্যেকে যে পারবেন নিজেরা করবেন। আর যার যতটুকু সহযোগিতা লাগবে আমরা কেন্দ্র থেকে দরকার হলে করবো কিন্তু একটা অফিস থাকা দরকার। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। সারা বাংলাদেশেই এখন অনলাইনে যোগাযোগ করার সুযোগ আছে। আমাদের আওয়ামী লীগ পিছিয়ে থাকবে কেন! যদিও পিছিয়ে নেই, এখন হচ্ছে। একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাই। যেন জেলা-উপজেলার সঙ্গে কেন্দ্রে যোগাযোগটা থাকে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‍‍`সংগঠন বলতে সারা বাংলাদেশে সত্যি কথাটা বলা যায় তবে আওয়ামী লীগই আছে, এটা ঠিক। আমরা তো মাটি মানুষ থেকে গড়ে ওঠা সংগঠন। আর বিএনপি-জাতীয় পার্টি এগুলো তো অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখলকারী একজন মিলিটারি শাসক তার পকেট থেকে বের হওয়া। এরা ভাসমান, কাজেই এদের দায়-দায়িত্বটা জনগণের ওপর নেই। যদিও তারা দাবি করে অনেক বছর ক্ষমতায়। কিন্তু ক্ষমতায় থেকেই নিজেদের ভাগ্য গড়েছে, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়েনি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কাজ হচ্ছে জনগণের ভাগ্য গড়া, আর সেটাই আমরা কিন্তু করে যাচ্ছি এবং সেটা আমাদের করতে হবে। এককভাবে করলে হবে না, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যার যার এলাকায় একেক জন যদি দায়িত্ব নেন একজনকে সহযোগিতা করবেন, তাহলেই কিন্তু সেই মানুষটার জীবন দাঁড়িয়ে যায়। সেভাবে সবাই কাজ করবেন। মানুষের আস্থা বিশ্বাস এটাই আমাদের বড় শক্তিই। আমাদের আর কোনো শক্তি নেই। একমাত্র জনগণের শক্তিতেই আমরা বিশ্বাস করি।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top