অযোগ্যদের পকেটে সামাজিক ভাতার ১৫০০ কোটি টাকা

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ১ মে ২০২৩ ০১:০২; আপডেট: ১৮ মে ২০২৪ ১৭:৪০

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। ছবি: সিপিডি

সামাজিক ভাতাপ্রাপ্তদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ বয়স্ক ও ৩৩ শতাংশ বিধবা অযোগ্য সুবিধাভোগী রয়েছে। যার মাধ্যমে ব্যয় হয় প্রায় এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ অনিয়ম প্রতিরোধে কার্যকরী পারিবারিক জরিপ করার দাবি করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

মূলত স্বজনতোষণসহ অনিয়মের কারণে অযোগ্যদের হাতে চলে যাচ্ছে সামাজিক ভাতার বড় একটি অংশ।

আজ রোববার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর মহাখালীতে সিপিডি আয়োজিত সেমিনারে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও শামীম আলম। সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

সিপিডি মনে করে, ওই অপব্যয় রোধ করা গেলে শতকরা ৪৫ শতাংশ প্রকৃত যোগ্যদের ভাতার আওতায় আনা সম্ভব। একইসঙ্গে যোগ্য অ-সুবিধাভোগীদের ভাতার আওতায় আনতে বরাদ্দ বাড়ানোরও দাবি করেছে সংস্থাটি।

সিপিডি বলছে, বর্তমানে বয়স্ক ও বিধবা ভাতার ক্ষেত্রে মাসে ৫০০ টাকা ও শিক্ষা উপবৃত্তির জন্য মাসে ১৫০ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। সামাজিক ভাতাপ্রাপ্তদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ বয়স্ক ও ৩৩ শতাংশ বিধবা অযোগ্য সুবিধাভোগী রয়েছে। এদের মধ্যে আবার প্রায় ১২ শতাংশ পেনশন, ভিজিডি বা অন্যান্য ভাতা নিচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা অযোগ্য সুবিধাভোগীদের জন্য ব্যয় করা হচ্ছে। যা প্রতিরোধ করা প্রয়োজন।

তাই প্রকৃত দুস্থ ও আর্থিক দিক দিয়ে দুর্বলদের চিহ্নিত করতে দারিদ্র্য প্রবণ এলাকায় একটি কার্যকরী পারিবারিক জরিপ করা উচিত। অন্যদিকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করা ও যথাযথ কাগজপত্রের অভাবে ৫ থেকে ৩০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাদেরও ওই সুবিধার আওতায় আনা প্রয়োজন।

সিপিডির তথ্যানুযায়ী, যোগ্য অ-সুবিধাভোগীদের ভাতার আওতায় আনতে অতিরিক্ত ৪ হাজার ৩০২ কোটি টাকা প্রয়োজন। অযোগ্যদের পেছনে হওয়া অপব্যবহার রোধ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ যোগ্যদের পেছনে ব্যয় করা যেতে পারে। আর এই দেড় হাজার কোটি টাকার মাধ্যমে প্রকৃত যোগ্য এমন ৪৫ শতাংশ ব্যক্তিকে ভাতার আওতায় আনা সম্ভব।

সিপিডি মনে করছে, বর্তমান সুবিধাভোগীর প্রয়োজন বিবেচনায় টাকার পরিমাণ যদি বাড়ানো যায়, অর্থাৎ দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা করা হয় তাহলে অতিরিক্ত তিন হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা প্রয়োজন। কর ফাঁকি ও কর অস্বচ্ছতার মাধ্যমে প্রতি বছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। সেটা যদি আদায় করা সম্ভব হয় তাহলে সেখান থেকে অর্থ সংগ্রহ করে এ খাতে ব্যয় করা সম্ভব।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top