নির্বাচনের আগে দুর্গাপূজা নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:২৭; আপডেট: ১৪ মে ২০২৪ ০৩:৩২

ছবি: সংগৃহীত

শরতের শুভ্র মেঘমালা ভাসছে আকাশে। মা দুর্গার আগমনী সুর বেজে উঠেছে। বাজছে আনন্দধ্বনি। কাল ভোরে শুভ মহালয়া।

হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরুর প্রাক্কালে চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে মর্ত্যলোকে দেবী দুর্গাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। মহালয়া উদযাপনের মাধ্যমে দেবীর আরাধনা সূচিত হয়।

এদিন থেকে দুর্গাপূজার ক্ষণগণনাও শুরু হয়। প্রত্যুষে মন্দিরে মন্দিরে চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীকে আবাহন করা হবে। ভক্তরা আত্মীয়-স্বজন ও পূর্ব পুরুষের আত্মার সদগতি প্রার্থনা করে তর্পণ করবেন।

আজ দেবীপক্ষের সূচনালগ্ন। এ উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে প্রভাতী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের বেলতলায় মা দুর্গার আগমনী মহালয়া অনুষ্ঠান হবে। তারপর তর্পণ।

জানা গেছে, দেশের প্রায় সব মণ্ডপে একই ধরনের আয়োজন থাকবে। ২০ অক্টোবর শুক্রবার মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হবে। ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে এ উৎসব শেষ হবে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দুর্গাপূজা নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই। তারা উল্লেখ করেছেন যে, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবারের পূজায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছে।

শুক্রবার সকালে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার বলেন, যখন প্রতিমা ভাংচুরের খবর গণমাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রচার করা হয়, তখন তা নির্দেশ করে যে দুর্গাপূজা আসছে। গত দুই মাসেও এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা প্রায় দশ জায়গায় প্রতিমা ভাংচুরের খবর পেয়েছি। তারপরও আমরা কোনো সম্ভাব্য হামলা নিয়ে উদ্বেগ পোষণ করতে চাই না।

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এবারের পুজোয় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন তারা। তাদের ওপর আস্থা রেখেই আমরা উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে চাই।

এর আগে এক লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত বছর সারা দেশে ৩২,১৬৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হয়েছিল। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২,৪০৮টি, যা গত বছরের তুলনায় ৪০টির বেশি। শুধু ঢাকা শহরেই ২৪৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে, যা গত বছরের চেয়ে বেশি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতি বছরই ধারাবাহিকভাবে পূজার সংখ্যা বাড়ছে। অর্থনীতির সমৃদ্ধি এবং পুজোর সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে শুভানুধ্যায়ীদের অবদান দেখতে পাওয়া নিঃসন্দেহে আনন্দের। তবে পুজোর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি পুজো ঘিরে নিরাপত্তার বিষয়টিও বিবেচনা করা জরুরি। লিখিত বক্তৃতায় তিনি সরকারের কাছে কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হলো- দানকৃত সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণে সরকারের গৃহীত উদ্যোগের দ্রুত বাস্তবায়ন; আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় অরক্ষিত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য একটি বিশেষ নিরাপত্তা আইন ঘোষণা; একটি জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন; সাম্প্রদায়িকতা মোকাবেলায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা এবং অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা; দুর্গাপূজার সময় ৩ দিনের ছুটি ঘোষণা করা; হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের জায়গায় হিন্দু ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন পরিষদের সভাপতি জেএল ভৌমিক।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top