তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন

হাবিবুরের চোখের সামনে পুড়ে মারা যায় বোন-ভাগনে

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৫৩; আপডেট: ৪ মে ২০২৪ ১২:২৪

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নেত্রকোনা থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মা-ছেলেসহ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মা-ছেলের পরিচয় জানা গেলেও বাকি দুজনের পরিচয় জানা যায়নি। এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নেত্রকোনার হাবিবুর রহমান হাবিব। হাবিবুরের চোখের সামনে ট্রেনের ভেতরে আটকা পড়ে পুড়ে মারা যায় বোন ও ৩ বছরের ভাগনে।

আজ মঙ্গলবার ভোর আনুমানিক পাঁচটার তেজগাঁও স্টেশনে ভোর ৫টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহতরা হলেন নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) ও তাঁর ছেলে ইয়াসিন (৩)। পরিচয় নিশ্চিত করেছেন নাদিরার ভাই হাবিবুর রহমান হাবিব। বাকি দুজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তাদের বয়স আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ বছর।

নিহত নাদিরার ভাই হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, তাদের বাড়ি নেত্রকোনার সদর উপজেলার বরুনা গ্রামে। ঢাকার তেজগাঁও তেজতুরী বাজার এলাকায় থাকেন। নাদিরার স্বামী মিজানুর কারওয়ান বাজারে হার্ডওয়্যারের ব্যবসা করেন। গত ৩ ডিসেম্বর তাঁরা বেড়ানোর উদ্দেশ্যে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই গত রাত ১২টার দিকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস করে রওনা দিয়েছিলেন ঢাকায় ফিরতে। ভোরে তাদের ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বোন নাদিরা ও তাঁর দুই ছেলে ইয়াসিন (৩) ও ফাহিম (৮)।

হাবিবুর আরও জানান, তেজগাঁও স্টেশন এসে ট্রেনটি থামলে কিছু যাত্রী সেখানে নেমে যায়। এ সময় তাদের পেছনের ছিটে থাকা দুই ব্যক্তিও নেমে যায়। এরপর ট্রেনটা চলতে শুরু করা মাত্রই পেছনের সিট থেকে আগুন জ্বলে উঠে। মুহূর্তেই আগুন পুরো বগিতে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে দৌড়ে তিনি ফাহিমকে নিয়ে ট্রেন থেকে নামতে পারলেও ভেতরে আটকা পড়েন ছোট ইয়াসিন ও তার মা নাদিরা। তাদের আর কোনোভাবেই বের করতে পারেননি। পরে ফায়ার সার্ভিস তাদের মরদেহ বের করে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) মো. মাসুদ জানান, মরদেহ চারটি সকালে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এসেছে রেলওয়ে থানা-পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। মৃত দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। দুজনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘ট্রেনটি নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় আসছিল। বিমানবন্দর স্টেশন পার পর খিলক্ষেত এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীরা পেছনের বগিতে আগুন দেখতে পান। পরে তারা চিৎকার করতে শুরু করেন। এরপর চালক ট্রেনটি তেজগাঁও স্টেশনে থামান।’




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top