টিকিট নিয়েও ট্রেনে উঠতে পারছেন না অনেকে

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:১০; আপডেট: ২ মে ২০২৪ ২০:০৬

ছবি: সংগৃহীত

অন্যবারের তুলনায় এবার রেলযাত্রা বেশ নির্বিঘ্ন হচ্ছে। নেই টিকিট কাটার সিরিয়াল। অভিযোগ নেই বিলম্বে ছাড়ার। অনলাইন টিকিট নিয়ে এসে সরাসরি প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করে ট্রেনে উঠে যাচ্ছেন যাত্রীরা। চাপ থাকলেও সবার মাঝে স্বস্তি আছে।

দিনের শুরুতে উত্তরবঙ্গগামী দুটি ট্রেনে যাত্রীর চাপের কারণে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। টিকিট থাকা সত্ত্বেও বয়স্ক, নারী ও শিশু অনেকে উঠতে পারেননি। এছাড়া বাকি সব স্বাভাবিক ছিল।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) কমলাপুর রেলস্টেশনে এমন চিত্র চোখে পড়েছে। সকালের দিকে মানুষের চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সে চাপ কমে গেছে। স্বাভাবিক যাত্রা বলা যায়।

দিনের শুরুতেই কমলাপুর স্টেশনে র‌্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রেলের কর্মকর্তাদের সুশৃঙ্খল পরিবেশ দেখা গেছে। প্রবেশদ্বারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি রেলের নিরাপত্তাকর্মীরা টিকিট দেখছেন। ভেতরে গিয়ে চিরাচরিত প্ল্যাটফর্মে মানুষের চাপ থাকলে অব্যবস্থাপনা তেমন চোখে পড়েনি। বেশ নির্বিঘ্নে গন্তব্যে যাচ্ছে মানুষ।

সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী সোহাগ হোসেন বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটায় কোনো ভোগান্তি হয়নি। এখানে এসে মানুষের চাপের কারণে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে এটি ঈদে স্বাভাবিক পরিস্থিতি। আমরা এতে অভ্যস্ত।

রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী সারজিনা বলেন, নিদির্ষ্ট সময়ে ট্রেন পাওয়া ঈদের আগে যেন বাড়তি আনন্দ। সময়মতোই পরিবারের কাছে যেতে পারবো, এই ভেবে বাকি কষ্ট, কষ্টই মনে হচ্ছে না।

কল্যাণপুরে নেই যাত্রীর চাপ, কাউন্টার ফাঁকা
তবে, সকালের দিকে তিস্তা এক্সপ্রেস ছাড়াও উত্তরবঙ্গগামী একতাসহ কয়েকটি ট্রেনে ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী ছিল। ছাদেও উঠেছে অনেক যাত্রী। যদিও রেলের নিরাপত্তাকর্মীদের তাদের বারণ করতে দেখা গেছে। কিন্তু মানুষের চাপ এত বেশি, কেউ কারো কথা শোনার অবস্থা নেই। চাপ দিয়ে শোনানোর মতো পরিস্থিতিও নেই।

একতা এক্সপ্রেসের যাত্রী মর্জিনা বেগম (৫০) বলেন, দরজায় তিল ধারণের ঠাঁই নেই। অনেকে জানালা দিয়ে উঠছে। আমি কীভাবে উঠবো? শুধু মর্জিনা নয়, তার মতো অনেক বয়স্ক ও শিশু মানুষের চাপে টিকিট থাকা সত্ত্বেও উঠতে পারেননি।

রাসেল নামে এক যাত্রীর অভিযোগ, তিনি পরিবারসহ পঞ্চগড় যেতে টিকিট কেটেছেন তিনটি। কিন্তু স্ত্রী ও শিশু সন্তান নিয়ে দরজায় দাঁড়িয়ে আছে, ভেতরে যাওয়ার সুযোগ নেই। সিট কোথায় সেটা তো বের করারই উপায় নেই।

রাসেলের মতো অনেকেই তার বরাদ্দ করা সিট পাননি বা সিটের আশপাশেও যেতে পারেননি। তবে, বেশির ভাগের কথা হচ্ছে, অন্যান্য বারের তুলনায় এই ভোগান্তি কিছুই না।

এসব বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার। তিনি বলেন, সকালে উত্তরবঙ্গগামী দুটো ট্রেনে যাত্রীর চাপ ছিল বেশি। ছাদেও মানুষজন উঠেছে। পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকায় কিছু করা যায়নি। এর বাইরে সবকিছু এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক আছে। সময়মতো ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীদেরও হয়রানি তেমন নেই। অনলাইনে টিকিট দেখিয়ে প্রবেশ করছে, নিজ কোচে গিয়ে উঠছে।

তিনি বলেন, সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ২০টি ট্রেন ছেড়েছে। সারাদিন প্রায় ৬৭টি ট্রেন চলে। সকালে যাত্রীর চাপ ছাড়া আর কোনো অভিযোগ আসেনি। সবকিছু স্বাভাবিক আছে।

রেল নিয়ে দীর্ঘদিন যারা কাজ করেন এমন সাংবাদিকরাও জানিয়েছেন, এবারের ঈদযাত্রা অন্যান্য বারের তুলনায় বেশ স্বস্তির হচ্ছে। ভোগান্তি একেবারেই কম। যতটুকু আছে সেটিও মানুষের চাপ। এটি হওয়াই স্বাভাবিক।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top