নতুন সেনাপ্রধান হলেন ওয়াকার-উজ-জামান
রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২৪ ১৪:১১; আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫ ০৬:৫২
-2024-06-11-14-11-19.jpg)
চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে জেনারেল পদে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক
সেনাবাহিনীর প্রধান পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
আগামী ২৩শে জুন বিকাল থেকে তার এই নিয়োগ কার্যকর হবে। যোগদানের পর থেকে ৩ বছর তিনি সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ১৯৮৫ সালের ২০শে ডিসেম্বর ১৩তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, মিরপুর এবং যুক্তরাজ্যের জয়েন্ট সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন।
এ ছাড়াও, তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মাস্টার্স অব ডিফেন্স স্টাডিজ’ এবং যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ‘মাস্টার্স অব আর্টস ইন ডিফেন্স স্টাডিজ’ ডিগ্রি অর্জন করেন। দীর্ঘ ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য সামরিক ক্যারিয়ারে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের পাশাপাশি নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এবং সাভার এরিয়া কমান্ডার, সেনাসদরে সামরিক সচিব এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এ ছাড়াও তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনে প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ই জুন ২০১০ পর্যন্ত ১৭ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-অধিনায়ক ও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।
এসময় তিনি তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহ দমনে নিষ্ঠা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ২৭শে জুলাই ২০১১ থেকে ১১ই নভেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত দুই বছরেরও বেশি সময় ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জিওসি হিসেবে ২রা এপ্রিল ২০১৪ থেকে ২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০১৭ পর্যন্ত তিন বছর নবম পদাতিক ডিভিশন কমান্ড করেন।
এরিয়া কমান্ডার, সাভার এরিয়া ও জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) নবম পদাতিক ডিভিশন হিসেবে তিনি টানা তিন বছর অত্যন্ত সফলভাবে বিজয় দিবস প্যারেড- ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ এর প্যারেড কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। এই বিরল কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘সেনাগৌরব পদক’ (এসজিপি)-এ ভূষিত হন। স্টাফ হিসেবে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত একটি ব্রিগেড, স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস (এসআইএন্ডটি) এবং সেনা সদরে বিভিন্ন পদবি ও নিয়োগে দায়িত্ব পালন করেন।
এ ছাড়াও তিনি প্রশিক্ষক হিসেবে জেসিও এনসিও একাডেমি (জেএনএ), স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিপসট)-এ অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে সকল পদবির দেশি-বিদেশি সেনাসদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। সেনা সদর সামরিক সচিবের শাখায় তিনি সহকারী সামরিক সচিব, উপ-সামরিক সচিব এবং সামরিক সচিব (এমএস) হিসেবে বিভিন্ন মেয়াদে দীর্ঘদিন কর্তব্যরত ছিলেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতিসংঘের ব্যানারে মিলিটারি অবজারভার হিসেবে এ্যাঙ্গোলাতে এবং সিনিয়র অপারেশন অফিসার হিসেবে লাইবেরিয়াতে দায়িত্ব পালন করেন। সেনাবাহিনীতে তার কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি অসামান্য সেবাপদক (ওএসপি)-এ ভূষিত হন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি হিসেবে দেশে ও বিদেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন।
বিষয়: সেনা প্রধান সামরিক বাহিনী
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: