ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান, আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা শিক্ষকদের

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২৪ ২৩:৩৮; আপডেট: ৫ জুলাই ২০২৪ ১৭:১০

আন্দোলন চলছে ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছবি: সংগৃহীত

সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা। আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের মূল ফটকে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া এই ঘোষণা দেন।শিক্ষক নেতা বলেন, ‘প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার করে আগামী বছর ‘সেবক’ নামে স্কিম চালু হলে এবং সেখানে সবার জন্য সুযোগ-সুবিধা রাখা হলে আমরা সেখানে যাব। দেশের স্বার্থে সবার জন্য যা হবে, আমাদের জন্যও তা হবে। তাতে আমাদের কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু প্রত্যয় স্কিম বাতিল করতে হবে।’

অর্থ মন্ত্রণালয় ও পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘তারা এতদিন কোথায় ছিলেন? আমরা এতদিন বিবৃতি-স্মারকলিপি দিয়েছি, সংবাদ সম্মেলন করেছি। সাড়ে তিন মাস আগে যদি আমরা জানতাম বয়সসীমা ঠিকই আছে, তাহলে শিক্ষকরা এত ক্ষুব্ধ হতো না। এখন আন্দোলন স্তিমিত করার জন্য একটা একটা ব্যবস্থা করেছে।’

সরকারি কর্মকর্তাদের তারা বিশ্বাস করেন না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালে যেভাবে তারা আমাদের রাস্তায় নামিয়েছে। সুপার গ্রেড আমাদের দেয়নি। সেসময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, একটি কমিটিও হয়েছে। তবে নয় বছরেও আমরা সুপার গ্রেড পাইনি। তখনও আশ্বাস দিয়েছে। সুতরাং আশ্বাস দিলে হবে না। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নিয়ে বসতে হবে। আমাদের সুপার গ্রেড দিতেই হবে।’

১ জুলাই নতুন অর্থবছর থেকে যাত্রা শুরু করা প্রত্যয় স্কিম সম্পর্কে কিছু বিষয় স্পষ্ট করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সমাজের সব স্তরের মানুষকে একটি টেকসই পেনশন ব্যবস্থায় আনার লক্ষ্যে অন্যদের পাশাপাশি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রবর্তন করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে ৪০৩টি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯০টির মতো প্রতিষ্ঠানে পেনশন ব্যবস্থা চালু আছে। অবশিষ্ট প্রতিষ্ঠান কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ডের (সিপিএফ) আওতাধীন। সিপিএফ সুবিধার আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা এককালীন আনুতোষিক প্রাপ্ত হয়ে থাকেন, কোনও পেনশন পান না। তাছাড়া সরকারি, স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ছাড়াও দেশের বিপুলসংখ্যক জনসাধারণ একটি সুগঠিত পেনশনের আওতার বাইরে আছে। সরকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য একটি সুগঠিত পেনশন কাঠামো গড়ে তোলার জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রবর্তন করেছে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top