ভাসানচরে রোহিঙ্গারা
রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০২০ ২১:২২; আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫ ০৪:২৬
-2020-12-04-15-16-53.jpg)
শুরু হয়েছে দেশের শরণার্থী রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া।
শুক্রবার (০৪ ডিসেম্বর) সকালে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্প থেকে আগ্রহী রোহিঙ্গাদের প্রথম চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে।
পুর্নবাসন প্রক্রিয়ার বিষয়ে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এমকেজেড শামীম জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টার পর চট্টগ্রামের বোট ক্লাব, আরআরবি ও কোস্টগার্ডের জেটি থেকে জাহাজগুলো ছেড়ে যায়। দলটিতে নারী-পুরুষ-শিশু মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা রয়েছেন।
তিনি জানান, তাদেরকে নৌবাহিনীর ছয়টি ও সেনাবাহিনীর একটি জাহাজে পাঠানো হয়। দুপুরের দিকে তাদের ভাসানচরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এর আগে তাদের পুনর্বাসনের জন্য বুধবার রাতেই উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়।
ধাপে ধাপে তাদের স্থানান্তরে এক সপ্তাহের মত সময় লাগবে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
শুধু আগ্রহীদের এই কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে জানিয়ে সমাজ কল্যাণ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপারসন জেসমিন প্রেমা জানান, শুধু আগ্রহী রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেয়ার কাজ করছে সরকার এবং ২২টি উন্নয়ন সংস্থা। এসব রোহিঙ্গাকে জাহাজে ওঠার পূর্বে বিভিন্ন ডাটা এন্ট্রি সাপেক্ষে বরাদ্দকৃত আশ্রয়ণের টোকেন ও চাবি হস্তান্তর করা হবে।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান আরও জানান, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য আধুনিক বাসস্থান ছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক ও খেলার মাঠ গড়ে তোলা হয়েছে। আর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য সেখানে মহিষ, ভেড়া, হাঁস, কবুতর পালন করা হচ্ছে। আবাদ করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি।পরীক্ষামূলকভাবে ধান চাষও করা হচ্ছে। প্রকল্পটিতে যেন ১ লাখ ১ হাজার ৩৬০ শরণার্থী বসবাস করতে পারেন সে লক্ষ্যে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হয়েছে। ১২০টি গুচ্ছগ্রামে ঘরের সংখ্যা ১ হাজার ৪৪০টি।
এদিকে, শরণার্থীদের দ্বীপটিতে পুনর্বাসন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
প্রসঙ্গত, জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট পরবর্তী এদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয় ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।
এসএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: