বারান্দায় বাবা-মায়ের সামনেই চোখে গুলি মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে শিশু আহাদ

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২৪ ১৯:৪০; আপডেট: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৫:২০

ছবি: সংগৃহীত

একটি ভবনের ৮ম তলার বারান্দায় বাবা-মায়ের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিল শিশুপুত্র আহাদ (৪)। বাসার নিচে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পালটা ধাওয়া, গোলাগুলি দেখছিল সবাই। হঠাৎ মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে শিশু আহাদ। ছেলেকে ধরে তুলতে গিয়ে রক্তে ভিজে যান বাবা আবুল হাসান ও মা সুমি আক্তার।

ছেলেটির ডান চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাথার ভেতরে আটকে যায়। গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

মর্মান্তিক ঘটনাটি গত ১৯ জুলাই বিকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ এলাকার একটি ভাড়া বাসার ৮ তলায়।

নিহত শিশু আহাদের চাচা মোকলেসুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, আমার ভাই আবুল হাসান রায়েরবাগ এলাকায় ১১তলা বিডিংয়ের আটতলায় তার স্ত্রী সুমি আক্তার, বড় ছেলে দিহান মাতুব্বর (১১) ও ছোট ছেলে আহাদকে (৪) নিয়ে বসবাস করতেন। আমার ভাই ঢাকা আয়কর বিভাগে চাকরি করেন। গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদাহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া গ্রামে।

তিনি বলেন, ১৯ জুলাই বিকালে আমার ভাই, ভাবি ও ভাতিজা বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাসার নিচে ছাত্র ও পুলিশের গণ্ডগোল দেখছিল। এ সময় এই ঘটনা ঘটে। রোববার বিকালে ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। পরে সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সযোগে গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পুখুরিয়ায় নিয়ে আসা হয়। রাতেই বাড়িতে দাফন করা হয় তাকে। তবে এলাকার গ্রামবাসীদের জানাতে পারেননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার এক ব্যক্তি জানান, প্রথমে আহাদের লাশ ভাঙ্গায় আনতে দেবে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শেষপর্যন্ত শিশুটির বাবা সরকারি চাকরি করেন বিধায় বড় বড় স্যারদের বলে সন্তানের লাশ গ্রামের বাড়ি আনতে দিয়েছে। তারপরও গ্রামের লোকজনকে বেশি না জানিয়ে শিশু আহাদকে বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। তবে বাড়িতে আগে কোনো পারিবারিক কবরস্থান ছিল না। আহাদকে দাফনের মধ্য দিয়েই বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানটির যাত্রা শুরু হলো।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top