তদন্তে মিলেনি ভাইরাল হওয়া পুলিশ কর্মকর্তার ঘুষের তথ্য

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:১০; আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:০৩

ভাইরাল হওয়া ভিডিওর স্থিরচিত্র।

রাজশাহীর এক পুলিশ কর্মকর্তার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনার তদন্তে অভিযুক্ত কর্মকর্তার ব্যক্তিগত টাকা লেনদেনের তথ্যই উঠে এসেছে।

সদ্য ক্লোজড হওয়া রাজশাহীর বাগমারা থানার পুলিশের এএসআই হারুনুর রশীদ একটি দোকান থেকে টাকা নিচ্ছেন- এমন একটি ভিডিও সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। সেসব ভিডিওর ক্যাপশনে বলা হয়- প্রকাশ্যেই ঘুষ নিচ্ছেন এএসআই হারুনুর রশীদ। তবে পুলিশের তদন্ত বলছে- ঘুষ নয়, ব্যক্তিগত লেনদেন ছিল তার।

গত ৩ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর তাকে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। 

ঘটনার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন দিনের মধ্যে তদন্তের জন্য রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন দেবকে দায়িত্ব দেন পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন। মঙ্গলবার বিকালে তদন্ত কর্মকর্তা তার তদন্ত প্রতিবেদন এসপিকে দিয়েছেন।

এই বিষয়ে জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম বলেছিলেন, তাহেরপুর বাজারের ‘মা টেলিকম’ নামের একটি মোবাইলের দোকানের মালিক তুহিনের কাছ থেকে এএসআই হারুনুর রশীদ টাকা নিচ্ছেন বলে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়। 

তবে দোকানদার তুহিন জানান, এএসআই হারুন ঘুষ নেননি। মূলত তিনি তার একটি মোবাইল ফোন এই দোকানে বিক্রি করে অন্য একটি ফোন কিনেছিলেন। এই ফোন কেনাবেচার সময় হারুন দুই হাজার টাকা পান। সেই টাকাটিই তিনি নিয়েছেন। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ ভিডিওটিকে ঘুষ গ্রহণের চিত্র বলে প্রচার করা হয়েছে।

দোকান মালিক তুহিন আরও জানান, তাহেরপুর এলাকার দুই ব্যক্তি ভিডিওটি ফেসবুকে ছেড়েছেন। তদন্তের সময় জানা গেছে, যারা এ কাজটি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগে তারা একটি ক্লিনিকে চাঁদাবাজি করতে গিয়েছিলেন। তখন ক্লিনিকের মালিক পুলিশ ডাকেন। ওই দিন এএসআই হারুন সেখানে গিয়েছিলেন। তিনি চাঁদাবাজদের বকাঝকা করে বিদায় করেছিলেন। এ ঘটনার জের ধরে তারা এএসআই হারুনের ভিডিওটি ছেড়েছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে করা তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে- চিহ্নিত দুই চাঁদাবাজ তুহিনের দোকানের কর্মচারী আশিকের কাছ থেকে সিসি ক্যামেরার ওই ভিডিও ফুটেজটি নিয়েছিল। বিষয়টি তুহিন নিজেও জানতেন না।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম বলেন, ভিডিওতে দেখতে পাওয়া টাকা লেনদেনের বিষয়টি ঘুষ গ্রহণ বলে প্রতীয়মান না হলেও এএসআই হারুনুর রশীদকে পুলিশের পোশাক পরা অবস্থায় ধূমপান করতে দেখা গেছে। এটি শিষ্টাচারবহির্ভূত। পোশাক পরে প্রকাশ্যে ধূমপানের মতো শিষ্টাচারবহির্ভূত কাজের জন্য এএসআই হারুনুর রশীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

  • এসএইচ


বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top