ঝুঁকিতে ১১ কোটি মানুষ
নির্বাচন কমিশন থেকে ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত
রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৫৭; আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৩৫

নির্বাচন কমিশনের তথ্যভান্ডার থেকে ব্যক্তিগত তথ্য বেহাতের ঝুঁকিতে দেশের ১১ কোটি মানুষ। তাই তথ্য চুরির শঙ্কায় অনেকে। তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের ফলে বাড়তে পারে ভুয়া নামে মোবাইল সিম রেজিস্ট্রেশন বা বেনামি ঋণের মতো প্রতারণা । রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য ফাঁস দেশকে অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিকভাবে বিপদেও ফেলতে পারে।
২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়কে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা নিয়োগ দেন শেখ হাসিনা। সেই থেকে দেশের নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য দেখভালের দায়িত্বে তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগ। কিন্তু, সজীব ওয়াজেদ তথ্য সুরক্ষার বদলে বিক্রি করে দিয়েছেন জনগণের তথ্য।
এরইমধ্যে বেহাত হয়ে গেছে ১১ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য। ২০ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের অভিযোগও মিলেছে। তথ্য চুরির অভিযোগে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।
ফাঁস হওয়া তথ্য ডার্ক ওয়েবে বিক্রির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে তথ্য ফাঁসের শিকাররা দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা হুমকিতে। এতে আর্থিক, সামাজিক ও আইনিভাবে মারাত্মক ঝুঁকিতে ১১ কোটি মানুষ। তাই, ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের।
সজীব ওয়াজেদ জয় এবং জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলায় এরইমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহকে। তবে, ডিজিকন গ্লোবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে তাদের।
পুলিশ বলছে, তথ্যফাঁসের ঘটনায় জয়-পলক- বরকতউল্লাহ সিন্ডিকেট জড়িত।
১১ কোটি নাগরিকের ফাঁস হওয়া তথ্য ব্যবহার করে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার ও গুগলসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোতে কোটি কোটি ফেইক আইডি তৈরি নিয়ন্ত্রণকে কঠিন বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: