গণপূর্তের করা টিএসসির খসড়া নকশা ‘মনঃপূত হয়নি’ ঢাবির

রাজটাইমস ডেক্স | প্রকাশিত: ৪ জানুয়ারী ২০২১ ১৩:৪৩; আপডেট: ২ মে ২০২৪ ১৬:৪৮

ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া চাহিদার আলোকে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) একটি খসড়া নকশা প্রস্তুত করেছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। কিন্তু নকশাটি ‘মনঃপূত হয়নি’ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের৷ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নকশাটিকে ‘মডিফাই’ করতে গণপূর্তকে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৩ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সভাকক্ষে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের একটি দলের বৈঠক হয়৷ ওই বৈঠকে টিএসসিকে ভেঙে নতুন করে গড়ার খসড়া নকশাটি উপস্থাপন করা হয়৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান, সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম সিকদার।

গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ভবনটিকে তিনি আধুনিক ভবন হিসেবে দেখতে চান। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভবনের নকশা প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী হয়৷ টিএসসিকে নতুন করে গড়ার লক্ষ্যে সরকারের গণপূর্ত অধিদপ্তর কাজ করছে৷ কিছুদিন আগে গণপূর্তকে টিএসসি নিয়ে নিজেদের চাহিদাপত্র দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গণপূর্তের ওই সভা হলো।

সভার আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম সিকদার রোববার রাতে বলেন, ‘গণপূর্তকে আমরা যে চাহিদাপত্র দিয়েছিলাম, সেই আলোকে তারা একটি খসড়া নকশা প্রস্তুত করেছে। সেটিই সভায় উপস্থাপন করা হয়। তবে খসড়া ওই নকশাটি আমাদের পুরোপুরি মনঃপূত হয়নি৷ তাই একে আরও মডিফাই করতে গণপূর্তের প্রকৌশলীদের আমরা কিছু পরামর্শ দিয়েছি৷ ওই পরামর্শের আলোকে নতুন একটি নকশা প্রণয়নের জন্য তাদের অনুরোধ করা হয়েছে৷ পরবর্তী নকশাটিতে আমাদের দেওয়া চাহিদা পূরণ হলে সেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে৷ তাঁর অনুমোদনের পর গণপূর্ত অধিদপ্তর এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।’

গণপূর্তের খসড়া নকশায় টিএসসির বিদ্যমান সব ভবন ভেঙে নতুন তিনটি ভবন নির্মাণের কথা বলা হয়৷ টিএসসির সামনের প্রশস্ত ভবনটি ভেঙে একটি ছয়তলা ভবন এবং ভেতরের মিলনায়তনটি ভেঙে আরও একটি ছয়তলা ভবন নির্মাণের কথা বলা হয় সেখানে৷ এ ছাড়া টিএসসির ক্যাফেটেরিয়া ও অতিথিকক্ষের স্থলে ৯ তলা একটি ভবন নির্মাণের কথা বলেন গণপূর্তের প্রকৌশলীরা। ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী বললেন, টিএসসির স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখেই সংস্কার করা হবে। টিএসসিতে এখন যে তিনটি ভবন আছে, এমন তিনটি ভবনেই সবকিছু হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী এই তিন ভবনেই প্রয়োজনীয় সম্প্রসারণ করা হবে। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য বড় পরিসর ও ক্যাম্পাসের সবুজায়নসহ প্রয়োজনীয় সবকিছুকে প্রাধান্য দিয়েই নকশা প্রস্তুতের জন্য গণপূর্তের প্রকৌশলীদের অনুরোধ করা হয়েছে।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ টিএসসির দৃষ্টিনন্দন ভবনটি ভেঙে ফেলার বিরোধিতা করেছেন৷ তাঁরা বলছেন, টিএসসিকে ভেঙে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের পাঁয়তারা চলছে। সংবাদ সম্মেলন করে টিএসসি ভেঙে ফেলার বিরোধিতা করেছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা প্রগতিশীল ছাত্রজোট।



বিষয়: শিক্ষা


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top