রাজশাহীতে বিএনপি’র বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচী পালন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর ২০২০ ০৩:২৯; আপডেট: ৮ নভেম্বর ২০২০ ০৩:২৯

 

১৯৭৫ সালের পর থেকে ৭ নভেম্বরকে ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে বিএনপি। দিনটি উপলক্ষে মহানগর বিএনপির আয়োজনে নানা কর্মসূচী পালন করে। শনিবার (৭ নভেম্বর) সকাল ৮টায় নগরীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে দিনের কর্মসূচীর উদ্বোধন ও শহীদদের এবং মৃত মুসলিম ব্যক্তিদের আত্মার মাগফেরাত ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।

সংহতি দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম থাকবে। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনায় দেশ যেমন স্বাধীন হয়েছিল, তেমনি ১৯৭৫ সালে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের মাধ্যমে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এজন্য বাংলাদেশ যতদিন থাকবে জিয়ার নামও বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের জনগণের অন্তরে থাকবে।

তিনি আরো বলেন, দেশে এখন কোন গণতন্ত্র নাই। আইনের শাসন নেই, দেশব্যাপি এখন শুধু খুন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও দূর্নীতিতে ভরে গেছে। সেইসাথে পার্শ্ববর্তী দেশের তাবেদারী করার জন্য বর্তমান সরকার দেশের সার্বোভৌমত্ব বিকিয়ে দিচ্ছেন। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে বতর্মান প্রধানমন্ত্রী ভারতের স্বার্থ রক্ষা করছে বলে বক্তৃতায় উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, দেশে এখন সব ধরনের ভোগ্যপণ্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। সাধারন জনগণের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। এই সরকারে আর ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নাই বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বুলবুল বলেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে এই সরকার। কারাগার থেকে বাহিরে আসতে দিলেও রেখেছে গৃহবন্দী করে। জামিনযোগ্য বিষয় হলেও সরকার বেগম জিয়াকে জামিন কিংবা মুক্তি দিচ্ছেনা। এখন রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমেই বেগম জিয়াকে এই বন্দিদশা থেকে মুক্ত করতে হবে। এই আন্দোলনে সকলকে শরীক হওয়ার আহবান জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে মিলন বলেন, বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট, বাংলার রাখাল রাজা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা না করলে আওয়ামী লীগ আজ সু-সংগঠিত হতে পারত না। কারণ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে দেশে আসার পথ সুগোম করেছিলেন জিয়াউর রহমান। দেশে এসে তিনি আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। কিন্তু সেই ব্যক্তিই এখন বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য নানাবিধ ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ করে তিনি। কিন্তু তাঁর সকল ষড়যন্ত্র বিফলে গেছে। বিএনপি পূর্বের ন্যায় সুসংগঠিত আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেইসাথে আগামীতে সকল প্রকার আন্দোলনে সকল নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহবান জানান মিলন।

মহানগর বিএনপি’র আয়োজনে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনের সভাপতিত্বে এবং মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানার উপস্থাপনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সদস্য তোফায়েল হোসেন, শাহ্ মখদুম থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, জেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জল, মহানগর কৃষক দলের আহবায়ক ওয়াদুদ হাসান পিন্টু।

এছাড়াও যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাইনুল হক হারু, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক গুলশান আরা মমতা ও রোজি, মহানগর তাঁতী দলের সভাপতি আরিফুল শেখ বনি, শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম কুসুমসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

কাফি/০৫



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top