পিলখানা হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়: ডা. তাহের

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৪২; আপডেট: ৪ মে ২০২৪ ১৪:৪৪

ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার হত্যাকাণ্ড বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ওই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের নামে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে চৌকস ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। জাতির জন্য এটি একটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা। পিলখানা হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা আধিপত্যবাদী শক্তির বাংলাদেশকে করদরাজ্য বানানোর ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রেরই অংশ।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। পিলখানার বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার বিচারের দাবি ও নিহতদের স্মরণে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মু. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আবদুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি কামাল হোসাইন ও ড. আব্দুল মান্নান।

আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আবদুস সালাম, অধ্যাপক নুরুন্নবী মানিক, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন, সহকারী অফিস সম্পাদক আব্দুস সাত্তার সুমন, সহকারী সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শাহীন আহমদ খান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আধিপত্যবাদী শক্তি বাংলাদেশকে একটি তাঁবেদার রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। এজন্যই পিলখানার এই ঘটনা সংগঠিত করা হয়েছিল।

সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে একদিকে যেমন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছে, তেমনি এই ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর মনোবল ধ্বংস করে দিয়ে আমাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সীমানাকে অরক্ষিত করে দেওয়ার নীলনকশা আঁকা হয়েছে।

এদেশের দেশপ্রেমিক জনগণ আধিপত্যবাদের গোলামীকে কখনোই বরদাশত করবে না। তাই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশপ্রেম ও ইসলামের সুমহান আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top