‘জামায়াতের দুই মন্ত্রী ছিলেন, দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি তাদের স্পর্শ করেনি’
রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২৪ ০৯:০৫; আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:৩৮
 
                                বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াত কখনো ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িত ছিল না। তিনি দাবি করেছেন— যদি কোথাও প্রমাণিত হয় তাদের একজন কর্মী সন্ত্রাস করেছে, তবে তারা জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে এবং আইন হাতে সোপর্দ হবে।
গতকাল মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্টস এসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ইমক্যাব) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভায় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ, ইমক্যাবের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক মাছুম বিল্লাহ এবং অন্যান্য সাংবাদিক ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত সবসময় গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছে। জামায়াতের দুই মন্ত্রী সরকার পরিচালনায় ছিলেন, কিন্তু দুর্নীতি বা স্বজনপ্রীতি তাদের স্পর্শ করেনি। তিনি দাবি করেন, জামায়াত দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং কখনো ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িত হয়নি।
তিনি অভিযোগ করেন, জামায়াতকে কখনো অপবাদ দেওয়া হয়, এমনকি গাইবান্ধার এমপি হত্যার ঘটনার পর জামায়াতকে দায়ী করা হয়েছিল, যা পরে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তিনি আরও জানান, ১ আগস্ট জামায়াতকে অবৈধ ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা তাদের মতে, দলের ওপর বড় ধরনের অন্যায়।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সহায়তা করেছে এবং সকল মানুষকে সমান অধিকার দেওয়ার প্রতি বিশ্বাসী। তিনি দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসার, সংবিধান ও প্রশাসনের সংস্কার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন এবং প্রতিশোধের রাজনীতির বিরোধিতা করেন। জামায়াত কখনো হয়রানিমূলক কাজের সাথে যুক্ত হতে পারে না।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিচার বিভাগ ধ্বংস হয়ে গেছে, প্রধান বিচারপতিকে দেশ ছাড়তে হয়েছে, নির্বাচন কমিশন কার্যকর নেই এবং পুলিশ জনগণের বন্ধু না হয়ে শত্রুতে পরিণত হয়েছে। তিনি নির্বাচন ও দেশের সংস্কারের জন্য যথাযথ সময় দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের অর্জন ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি মন্তব্য করেন, আওয়ামী লীগ নিজেকে কীভাবে দেখে তা জনগণের মূল্যায়নের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভারতে অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে দেশ শাসন করার পর ভারতে চলে যাওয়া মানানসই নয়। জামায়াতের নেতারা দেশে থেকেই জেল-জুলুম মোকাবিলা করেছেন এবং কখনো দেশত্যাগ করেননি।

 
                                                    -2020-11-11-19-11-28.jpg) 
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: