ছাত্ররাজনীতির সংস্কার প্রয়োজন : ছাত্রদল সভাপতি রাকিব
রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৩৫; আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১২:৫৩
 
                                ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, ছাত্ররাজনীতির অবশ্যই সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। গত সাড়ে ১৫ বছর ধরে ছাত্ররাজনীতিতে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে তার বিরুদ্ধে অবস্থান ছাত্রদলের।
তিনি বলেন, ‘নৈরাজ্যকর ছাত্ররাজনীতি কোনোভাবেই প্রচলিত থাকা উচিত নয়। অবশ্যই এ রাজনীতি সংস্কার প্রয়োজন। বিশেষ করে হল, ক্যাম্পাস ও অ্যাকাডেমিক পর্যায়ে সংস্কার প্রয়োজন। এগুলো করার ক্ষেত্রে ছাত্ররাজনীতির অবশ্যই প্রয়োজন হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘জাতির কল্যাণে ছাত্রদের অবশ্যই সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণামুখী করে গড়ে তুলতে হবে। বর্তমান যে সরকার আছে অথবা নির্বাচনের পর যে গণতান্ত্রিক সরকার আসবে তাদেরকে শিক্ষা সংস্কারে বাজেট বাড়াতে হবে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নয়া দিগন্তের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ছাত্রদল সভাপতি।
শিক্ষকরাজনীতি প্রসঙ্গে ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ‘ক্যাম্পাসভিত্তিক শিক্ষকরা যদি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং জনগণের অধিকার নিয়ে সোচ্চার থাকেন, এক্ষেত্রে অবশ্যই আমরা তাদের পক্ষে। তবে তারা যদি দলীয় রাজনীতি থেকে সুবিধা নেন, এক্ষেত্রে আমি দ্বিমত পোষণ করি।’
ছাত্রশিবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে ছাত্রলীগের কারণে বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি কলুষিত হয়েছে। সেই ছাত্রলীগের পদ থেকে এসে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করাটা জনধিকৃত হবে। তারা কোনোদিনই সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমর্থন পাবে না। ভবিষ্যতে এজন্য তাদেরকে অবশ্যই সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। সেটা তাদের যে ধরনের কৌশলই হোক না কেন, আমার মনে হয় না- এই ধরনের ছাত্ররাজনীতিতে কারো সমর্থনও রয়েছে।’
ছাত্রদল সভাপতি রাকিব বলেন, ‘আমরা নতুন ধারার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে রয়েছি। আমরা ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে নতুন ধারার ছাত্ররাজনীতি উপহার দেব। অতীতের শোডাউন ও মোটরসাইকেল বহর ও প্রোটোকলের রাজনীতি আমরা কন্ট্রোলে (নিয়ন্ত্রণে) নিয়ে এসেছি। এ নতুন ধারার রাজনীতির সাথে শিক্ষার্থীরা নতুনভাবে পরিচিত হবে। অবশ্যই আমাদের আদর্শকে সাধুবাদ জানিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রদলের পতাকাতলে আসবে- এ প্রত্যাশাই রাখি।’
ছাত্রশিবিরের সাথে ঐক্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতিসাপেক্ষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

 
                                                    -2020-11-11-19-11-28.jpg) 
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: