রাজশাহীতে বিএনপির

দু’গ্রুপের সংঘর্ষের পৃথক ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২৫ ১৯:২০; আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৫ ১৯:২১

সংগৃহিত

রাজশাহী নগরী ও তানোরে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষের পৃথক দুটি ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন গনিউল ইসলাম (৫০) ও গোলাম হোসেন রকি (৪৮)। তারা রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর তানোর উপজেলার কৃষ্ণপুরে বিএনপির ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথিকে বরণ করা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে বিএনপি কর্মী গনিউল ইসলাম (৫০) আহত হন। পরে তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর আজ বুধবার বিকেল ৩টার দিকে রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল মোমিনের ভাই।

অপর দিকে রাজশাহী নগরীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত রিকশাচালক গোলাম হোসেন রকি (৪৮) মারা গেছেন। গত শুক্রবার রাতে রাজশাহী মহানগরীর দড়িখড়বোনা এলাকায় বিএনপি'র দুই পক্ষের নেতাদের মাঝে সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে আহত রিক্সাচালক গোলাম হোসেন ওরফে রকি (৪৮) আহত হন। পরে গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৮টার সময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কে বিশ্বাস উভয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শংকর কে বিশ্বাস জানান, "সংঘর্ষের সময় রিকশাচালক গোলাম হোসেনের বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। এ ছাড়া তাঁর মাথায় আঘাত ছিল। ঘটনার পর থেকেই তাঁর জ্ঞান ফেরেনি। সন্ধ্যার পর তিনি মারা গেছেন। নিহত গোলাম হোসেনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার সাহেবপাড়ায়। তিনি নগরীর দড়িখড়বোনা মহল্লায় স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন।

শহরে রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর দড়িখড়বোনা এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আগের দিন রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতার ফ্ল্যাটে অভিযান এবং তাঁর ভাইকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা এ সংঘর্ষে জড়ান। ৪ ঘণ্টা ধরে চলে ওই সংঘর্ষ। তখন ককটেল ফাটানো হয়, গুলিরও শব্দ শোনা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিকশাচালক গোলাম হোসেন ওই রাতে রিকশা রেখে হেঁটে ভাড়া বাসায় যাচ্ছিলেন। তখন একটি পক্ষ তাঁকে আরেক পক্ষের লোক ভেবে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে কথা বলতে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা ও সদস্যসচিব মামুনুর রশিদের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে সাড়া না পাওয়ায় তাঁদের বক্তব্য জানা যায়নি।

 

 



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top