সার্চ কমিটি তামাশা ছাড়া কিছু না: ফখরুল
রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:২৩; আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫ ০৩:৩৮

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সার্চ কমিটি তামাশা ছাড়া কিছু না। এটার একমাত্র লক্ষ্য হলো জনগণকে দৃষ্টি বিভ্রান্ত করা, ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়া—দেখো আমরা এত এত পদ্ধতিতে, এভাবে সার্চ কমিটি তৈরি করে, সুশীল সমাজের মতামত নিয়ে আমরা এতগুলো নাম নিয়ে প্রস্তাব করছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা (বিএনপি) তো কিছু করিনি। যা করেছেন, আপনারাই করেছেন। একই পদ্ধতিতে গত দুটি নির্বাচনের মতো একইভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে এবং একই পদ্ধতিতে তারা নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণ করবে।
আজ বুধবার বিকেলে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি বলেছে তারা সার্চ কমিটিতে কারো নাম পাঠাবে না। তবে সরকারি দলের নেতারা বলছেন, বিএনপি আড়ালে থেকে নাম পাঠিয়েছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, এই সরকার এত চমৎকার করে মিথ্যা কথা বলতে পারে! অবলীলায় তারা দিনকে রাত-রাতকে দিন করতে পারে। এই ধরনের অপপ্রচার তারা সব সময় চালিয়ে এসেছে। এখন আর এগুলোতে কাজ হচ্ছে না। মানুষ তাদের সমস্ত জারিজুরি বুঝে গেছে এবং তারা জনগণের কাছে সত্যের অপরাধকারী হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।
আইনমন্ত্রী একটা কথা বারবার বলছেন, গণতন্ত্রে যারা বিশ্বাস করে তাদের মধ্যে বোঝাপড়া এবং রাজনৈতিক সংলাপ সব সময় থাকতে হয়, শেষ বলে কিছু নেই। সে ক্ষেত্রে আপনাদের অবস্থান জনগণের কাছে নেতিবাচক হিসেবে চিহ্নিত হবে কি না জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ভূতের মুখে রাম নাম একটা কথা আছে, আওয়ামী লীগের মুখে গণতন্ত্রের কথা হচ্ছে সেটাই। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসই করে না। যারা গণতন্ত্র কোনোদিন প্র্যাকটিস করেনি, প্র্যাকটিস করার সুযোগ দেয়নি; যখন ক্ষমতায় এসেছে, সমস্ত অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে। তারা যখন এসব কথা বলে...জনগণ কী বিশ্বাস করে-না করে সেটা সবাই জানে। যে কোনো শ্রমজীবী মানুষ থেকে শুরু করে যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন, যারা দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত না, সবাই বলবে, এখন সরকারের হাই টাইম, তাদের চলে যাওয়া উচিত। দেশ ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে তারা। সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
সংলাপও তো আমরা তাদের সঙ্গে করেছি। সেখানে চরম বিশ্বাস ঘাতকতা তারা আমাদের সঙ্গে করেছে। একবার দুবার না, তখন তারা বলেছে, 'আমরা সংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য নির্বাচন করছি। ৩ মাসের মধ্যে আমার আবার আরেকটি নির্বাচনের জন্য সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।' এটাই সত্য কথা। তারা টোটালি সেটাকে ইগনোর করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। একইভাবে ২০১৮ সালে ঐক্য ফ্রন্ট নিয়ে আমরা যখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলি। তিনি সবার সামনে বলেছেন, 'আর গ্রেপ্তার হবে না।' অথচ কয়েকদিন পরেই গ্রেপ্তার শুরু হয়েছে। এমন গ্রেপ্তার শুরু হয়েছে, আমাদের ১৯ জন প্রার্থী গ্রেপ্তার হয়েছে। সুতরাং তাদের এসব কথায় বোকা বানানোর চেষ্টা সফল হবে না। আমরা মনে করি, একমাত্র নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া আর কোনো কিছু গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কারণ নির্বাচন কখনোই সুষ্ঠু হবে না অন্য কিছু হলে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: