ওমরাহ ভিসাও নিয়েছিলেন বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী
ডেক্স রির্পোট | প্রকাশিত: ৮ মার্চ ২০২২ ১০:২৫; আপডেট: ৮ মার্চ ২০২২ ১০:২৬

বিএনপির প্রয়াত নেতা হারিছ চৌধুরীর আত্মগোপনের কাহিনী এখন মানুষের মুখে মুখে। সবার একটাই প্রশ্ন- টানা ১৪ বছর তিনি কি করে আত্মগোপনে থাকলেন? যেখানে গোয়েন্দারা হন্য হয়ে তাকে খুঁজেছেন। ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্টের তালিকায়ও তার নাম ছিল। ৬ই মার্চ মানবজমিনে তার আত্মগোপনের উপর একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এর পর থেকে এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে। এটাই ছিল টক অব দ্য কান্ট্রি।
বিলম্বে প্রাপ্ত অনুসন্ধানে জানা যায়, নাম বদল করার কারণে তিনি ছিলেন সন্দেহের ঊর্ধ্বে। মাহমুদুর রহমান নামেই পরিচয় দিতেন। পান্থপথের যেখানটায় থাকতেন সেখানে তার পরিচয় ছিল অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর হিসেবে।
মানবজমিন জানতে পেরেছে, হারিছ চৌধুরী ওরফে মাহমুদুর রহমান ২০১৪ সনের জুলাই মাসে ওমরাহ ভিসা নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি সিদ্ধান্ত বদল করেন। কিন্তু কেন? এই তথ্য যাচাই করা যায়নি। তবে তার পাসপোর্টে ভিসা লাগানো ছিল।
আরও একটি তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। মুক্তিযোদ্ধা হারিছ চৌধুরী দু’বার আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েও বদল করেন। কার পরামর্শে, সে তথ্যও আমাদের হাতে এসেছে। প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তাকে আত্মসমর্পণ না করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তার পরামর্শ ছিল – এটা হবে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। মানবজমিন অনুসন্ধানে আরও একটি তথ্য এসেছে। আত্মগোপনকালে তার সঙ্গে পরিবারের একমাত্র সদস্য তার চাচাতো ভাই আশিক চৌধুরী নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন এবং তার দেখভাল করতেন। তার ভাই সেলিম চৌধুরী খবর পেতেন আশিক চৌধুরীর মাধ্যমে।
তথ্য ও ছবি : মানবজমিন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: