নাটোরে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক, অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে একজনের মৃত্যু
রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২২ ০৬:৩৪; আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ০২:৪৪

নাটোরের লালপুরে অসুস্থ গবাদিপশুর মাংস থেকে অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুলাল হোসেন (৫৫) নামে একজন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন এবং আরো ৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
অ্যানথ্রাক্স বলে সন্দেহ হওয়ায় আগামীকাল ঢাকা থেকে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) বিশেষজ্ঞ ডা. রায়হানের নেতৃত্বে রওনা একটি গবেষক দল রওনা দেবেন। এ ছাড়া শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি চিকিৎসক দল উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের দেলুয়া গ্রামে আক্রান্ত রোগীদের পরিদর্শন করেছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ইউএলও) চন্দন কুমার সরকার বলেন, গবাদিপশুদের টিকা দিয়ে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধ করা হয়। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে দেলুয়া গ্রামে শনিবার (১৬ জুলাই) ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে সন্দেহজনক ৩০০টি গবাদিপশুকে অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগের টিকা দেওয়া হয়েছে। কোনো গবাদিপশুতে রোগের লক্ষণ দেখা দিলে প্রাণিসম্পদ কার্যালয় বা পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে সাধারণ মানুষের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নাটোর সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডা. রাসেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে প্রাথমিকভাবে অ্যানথ্রাক্স রোগ হিসেবে মনে করছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে আইইডিসিআর প্রতিনিধি দলের পরীক্ষা শেষে বিষয়টি চূড়ান্তভাবে জানা যাবে।
ওয়ালিয়া ইউনিয়নের দেলুয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসক শারমিন আক্তার তানিয়া বলেন, গত ৭ জুলাই রুইগাড়ি গ্রামের আইয়ুব সরদারের ছেলে দুলাল হোসেন (৫৫) সন্দেহজনক অ্যানথ্রাক্স ক্ষত নিয়ে ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য আসেন। তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে গত বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) রাত ১১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ময়নাতদন্তে মস্তিস্কে ইনফেকশন ও ক্ষতজনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে অ্যানথ্রাক্স সন্দেহে একই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে চিকিৎসা নিচ্ছেন শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫) ও ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২১), মহিদুল ইসলামের স্ত্রী রুমা বেগম (৩৫), মো. ওমর আলীর ছেলে আব্দুল মজিদ (৪০) ও সাখাওয়াত হোসেন (৩০), আরজেদ প্রাংয়ের ছেলে আফতাব আলী (৫০), মৃত দুলাল হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান (৩০), রূপচান্দ আলীর ছেলে মোহন আলী (৪০) এবং নুরুজ্জামানের স্ত্রী বিলকিস বেগম (৩২)। এদের মধ্যে মনোয়ারা বেগম ও আফতাব আলী আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: