রাবিতে যথাযথ মর্যাদায় রোকেয়া দিবস পালিত

রাবি প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:০২; আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৩৮

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) যথাযথ মর্যাদায় রোকেয়া দিবস পালিত হয়েছে।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের হলরুমে এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও প্রফেসর মো. হুমায়ূন কবীর। স্মরণ সভায় মূখ্য আলোচক হিসাবে উপস্হিত ছিলেন ইউনিভার্সাল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কারপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক ও সমাজসেবী সোহানী হোসেন।

এসময় মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে ইউনিভার্সাল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহানী হোসেন বলেন, বেগম রোকেয়া সমাজের নানা প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে নিজে যেমন প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, তেমনি সমাজে নারী জাগরণে ভূমিকা রেখেছেন। সমাজ সংস্কারের মাধ্যমে নারীরা স্বপ্ন দেখার সুযোগ পেয়েছে। বর্তমানেও নারীরা বরণীয় ও স্মরণীয় হচ্ছে এবং সমাজে ভূমিকা রাখছে। তিনি রক্ষণশীল ছিলেন না বরং নারীদের সামনে এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য হুমায়ুন কবীর বলেন, শিক্ষা ছাড়া নারীদের উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিশেষ করে মুসলিম নারীদের স্কুলে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন বেগম রোকেয়া। স্কুল প্রতিষ্টাও করেছিলেন তিনি। তিনি বাড়ি বাড়ি ঘুরে ছাত্রী সংগ্রহ করতেন। নারীর অধিকার নিয়ে আজীবন কাজ করে গেছেন এই মহীয়সী নারী।

বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারীদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। এখন সব জায়গায়তে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের অবস্থান রয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদের বেগম রোকেয়াকে জানার আহ্বান জানান।

উপ-উপাচার্য মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, আমাদের সৌভাগ্য যে বেগম রোকেয়াকে পেয়েছি। বেগম রোকেয়া সকল বাধা অতিক্রম করে সমাজের উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। মানুষের জীবনের পথ সহজ হয় না। আমরা বেগম রোকেয়ার এই কষ্টকর জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশের জন্য কাজ করে যাবো। আমরা এমন পথ বেছে নেবো না যেটা আমাদের পরিবার সমর্থন করে না। সামান্য ব্যর্থতাতে ভেঙে পড়বো না। আমরা এমন বিষয়ে জড়িয়ে পড়বো না যেটাতে আমাদের পরিবার, আমাদের দেশের ক্ষতি হয়।

বিজয়ের মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বেগম রোকেয়া সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকা একজন মানুষ। নারী পুরুষের লক্ষ্য ভিন্ন হলেও আমাদের সমাজে পুরুষের চেয়ে নারীদের ভূমিকা বেশি। তিনি আরো বলেন, যখন বঙ্গে আরবী ও উর্দু ভাষার প্রচলন ছিল ব্যাপক,তখন তিনি বাংলা ভাষায় কথা বলেছেন। শুদ্ধ বাংলাচর্চায় সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তাই নারী জাগরণের ক্ষেত্রে এই মহীয়সী নারী চিরস্মরণীয়।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, উনবিংশ শতাব্দীতে নারীদের যে শোচনীয় অবস্থা ছিল সেখান থেকে আজকে নারীরা অনেকটা স্বাধীন। বেগম রোকেয়াকে পড়ার জন্য সকল শিক্ষার্থীর প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ প্রফেসর জয়ন্তী রাণী বসাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই স্মরণ সভাটি সঞ্চালনা করেন হলের আবাসিক শিক্ষক ড. ফেরদৌস আরা।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top