বাজেটের প্রভাব রাজশাহীর মাছ ও সবজির বাজারে

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ২ জুন ২০২৩ ২৩:৫১; আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ০০:৩৭

ছবি: সংগৃহীত

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে দেশের ৫২তম বাজেটে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল ঘোষনা করেছেন। এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৫ দশমিক ২ শতাংশ।

এবারের বাজেটে কিছু কিছু পণ্যেরে দাম যেমন বেড়েছে তেমন কিছু পণ্যের দাম কমেও গেছে। বাজেটের প্রভাব পড়েছে রাজশাহীর কাচাসবজি ও মাছের বাজারগুলোতে। সপ্তাহের শেষ দিনে রাজশাহীর বাজার ঘুরে দেখা যায় গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা বেশিতে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। ৪০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১৬০ টাকা।

গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা। কেজিতে ৪০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে এ সপ্তাহে আদা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়।

সবজি কিনতে আসা আসাদ মিয়া জানান, এটা আর নতুনি কি। আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে প্রতি সপ্তাহে জিনিসের দাম বাড়বে। আর তাছাড়া সামনে বাজেট এটার ব্যবসায়ীরা একটা সুযোগ নিচ্ছে দাম বাড়ানোর। তবে মানুষ হয়ে যেহেতু জন্ম নিয়ছি খেতে হবে। তবে পরিমানে কম কিনতে পারছি কারণ আমাদেরতো আয় বৃদ্ধি পায়নি কিন্তু খরচটা পরিমানের চেয়ে বেশি হওয়ায় বাজারে এসে হিমসিম খাচ্ছি। এ বিষয়গুলো দেখার কেউ নেই বললেই চলে।

সবজি বিক্রিতা রেজাউল জানান, আদা বাইরে থেকে আসছে সে কারণে আমাদেরকে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে তাই আদার দামটা এ সপ্তাহে একটু বেশি। কাঁচামরিচ, পেয়াজ ও শসা এগুলো আমদানি আজ কম থাকায় এসপ্তাহে দামটা কিছুটা বেশি। আমাদের এখানে কোন রকমের হাত নেই দাম বাড়ানোর পেছনে কারণ আমরা ব্যবসায়ীরা বেশি দামে কিনে আনসি সে কারণেই জনগনের কাছে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। এছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

এছাড়া এসপ্তাহে নদী ও কার্প জাতীয় মাছের দাম কেজিতে ২০-২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি। এসপ্তাহে ২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১৪০০ টাকা, বাছা মাছ ২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা, ৫০ টাকা বেড়ে পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা। এছাড়া কার্প জাতীয় যেসব মাছ রয়েছে সকল প্রকার মাছে কেজিতে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

মাছ কিনতে আসা পূরবী রায় জানান, মাছের দাম প্রতি সপ্তাহে এমনি বেশি দামে বিক্রি হয় এখন ব্যবসায়ীরা একটা নতুন ইসু পেয়েছে বাজেটের। এগুলো সিন্ডিকেকে আমরা সাধারণ মানুষ ফেসে আছি। সত্যি বলতে বাজারে আসতে এখন ভয় লাগে জনগন আতঙ্কে থাকে সবকিছু সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমরা সাধারণ জনগন এসব ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে গেছি।

মাছ ব্যবসায়ী নজরুল জানান, মাছের আমদানি কম থাকায় এ সপ্তাহে মাছের দামটা বেশি। আসলে জনগন মনে করছে আমরা ইচ্ছ করে দাম বাড়াচ্ছি কিন্তু এটা সঠিকনা। আমরা মাছ প্রয়োজন অনুযায়ী পাচ্ছনা এবং যতোটুকু পাচ্ছি দাম বেশি দিয়ে কাড়াকাড়ি করে নিচ্ছি। তাছাড়া শুক্রবারে মাছের দাম কিছুটা বেশি থাকে। আমরা বেশি দামে কিনে আনছি সে কারণেই বেশি দামে বিক্রি করছি।

এছাড়া বাজারে পূর্বের মূল্যে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১৯০ টাকা, সোনালি ২৬০ টাকা এবং দেশি কেজিতে ৫৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৭৫০ টাকা এবং খাশির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়া এ সপ্তাহে রাজশাহীর বাজারে মুদিপন্যের সামগ্রীর দাম ও অন্যান্য পণ্য সামগ্রীর দাম স্থিতিশীল রয়েছ।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top