বিএনপি নেতা মিলনের জামিন না মঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৩১; আপডেট: ৬ মে ২০২৪ ১৫:১৫

সংগ্রহীত

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বোয়ালিয়া মডেল থানায় করা পেইন্ডিং মামলায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলনকে শ্যোন র‌্যাসেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত শনিবার বিকেলে মিলনকে ঢাকার কাশিমপুর কারাগারে থেকে রাজশাহী আনা হয়। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহীর সিএমএম-৪ আদালতে আনা হয়। এ সময়ে আদালত চত্বরে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়। পুলিশ, গোয়েন্দাসহ সিভিল পুলিশ অত্র এলাকা ঘিরে রাখে। এরমধ্যে রাজশাহী মহানগরসহ তাঁর নির্বাচনী এলাকা পবা-মোহন থেকে শত শত নেতাকর্মী আসেন আদালত চত্বরে। হাজারো নেতাকর্মী এক নজর তাদের প্রিয় নেতাকে দেখার জন্য আদালতের সামনে ভীড় করেন। ভীড় সামলাত পুলিশ হিমশিম খায়। এ সময়ে তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে ধন্যবাদ জানান।

নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে শফিকুল হক মিলনকে রাজশাহীর সিএমএম-৪ আদালতে তুললে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। মিলনের আইনজীবী আলহাজ¦ আলী আশরাফ মাসুম বলেন, বিএনপি নেতা এডভোকেট শফিকুল হক মিলনকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়। তিনি ২৮ জুলাই বিএনপি’র মহাবেশে যোগ দিতে গেলে তিনি ঢাকায় গেলে ২৭ জুলাই রাতে তাঁকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে গত ৬ আগস্ট আদালত এডভোকেট শফিকুল হক মিলন, আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল ও মিজানুর রহমান মিজানকে জামিন দেয়া হয।

তাঁর সকলেই জেল গেটে আসলে উজ্জল ও মিজানকে ছেড়ে দিলেও জেলগেট থেকে দুইটি মামলায় আবারও আটক দেখিয়ে এডভোকেট শফিকুল হক মিলনকে ফের জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। তিনি আরো বলেন, যে গায়েবী দুইটি পেইন্ডিং মামলায় তাঁকে আটক দেখানো হয়েছে তার মামলা নং ৩৬। মামলাটি দেখানো হয়েছে ১৯-০৫-২০২৩ইং এবং আরেকটি মামলা নং-৪৬, এটা দেখানো হয়েছে ২৪-০৫-২০২৩ইং তারিখ। তিনি বলেন, এ সকল রাজনৈতিক মামলা। তবে দ্রুত তিনি জামিন পাবেন বলে আশা করেন তিনি। এদিকে মিলনের মুক্তির দাবীতে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ করতে থাকেন নেতাকর্মীরা।

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top