সিরাজগঞ্জ এলজিইডি'র নির্বাহী প্রকৌশলী অবরুদ্ধ, ক্ষমা চেয়ে মুক্তি
রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০২৪ ১৮:৫৯; আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:০৬
-2024-07-11-18-59-24.jpg)
সিরাজগঞ্জের এলজিইডি'র সমালোচনা যেন কাটছেই না। দুর্ব্যবহার, অহেতুক টেবিল ঘুরানো, বিল পাশ প্রদানে ধীরগতি, ঠিকাদারকে না জানিয়েই কাজ বাতিল। এমনকি নিয়ম কানুন অনুসরণ না করেই একাধিক ঠিকাদারের চুক্তি বাতিলসহ নানা বিষয়ে ঠিকাদারদের হয়রানির অভিযোগে নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল এলজিইডি'র ঠিকাদারগণ।
বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এলজিইডি কার্যালয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে রাখেন ১৫/২০ জন ঠিকাদার।
এ সময় জেলার একাধিক গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে পরিদর্শনের গাফিলতি, ঠিকাদারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, বিল পাশে অনীহাসহ নানা অভিযোগের কথা নির্বাহীর সামনে উপস্থাপন করেন। এ সময় তাদের কথা গুরুত্ব না দিয়ে নিজের কাজে ব্যস্ততা দেখানোয় তারা আরো ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠে। সঠিক উত্তর দিতে না পারায় এক পর্যায়ে তিনি ক্ষমা চেয়ে সকলকে রেখেই অফিস থেকে বের হন।
প্রথম শ্রেণির একাধিক ঠিকাদার জানান, কাজ নিতে টাকা, শুরু করতে টাকা, বিল নিতে টাকা, ব্যাংক সিকিউরিটি নিতে টাকা, ক্যালকুলেটর ধরে কাজের জামানত ফেরত নিতে টাকা দিতে হয় জেলা ও উপজেলা অফিসারদের। দীর্ঘদিন ধরে সিরাজগঞ্জ এলজিইডির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতি অভিযোগ উঠলেও বদলি আর পদায়নে সীমাবদ্ধ। এর ফলে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এর আগে, তরুণ নামের এক ঠিকাদার বলেন, আমি ৭৫ লাখ টাকার পারফরমেন্স গ্যারান্টি পাব। গত দুই দিন আগে আবারও গ্যারান্টির টাকা চাইতে আসলে, তিনি বলেন আমার মাথা গরম আছে, আপনি আমার রুম থেকে বের হয়ে যান। তিনি আরও বলেন, আমার সঙ্গে এমন ব্যবহার করেছে, আমি যদি রাতে স্ট্রোক করে মরে যেতাম। তাহলে আমার পরিবারের কি উপায় হতো এমন প্রশ্ন নির্বাহীকে করা হলে তিনি হেসেই উড়িয়ে দেওয়ায় অন্যান্য ঠিকাদার আরো ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠে।
সোহান এন্টার প্রাইজের মালিক শহাদত হোসেন বুদ্দিন জানান, আমার কাজ অনেক দিন ধরে শেষ হয়েছে, কাজটি দেখে বিলটি দেওয়ার অনুরোধ করছি একাধিকবার। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ঘুরছি। একটি কাগজ সিনিয়র প্রকৌশলী আহরাম স্যারকে ডেকে নিয়ে বলি স্যার বিষয় টা দেখেন। উনি সিনিয়র প্রকৌশলীর সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেন। এরপর আমাকে ধমক দিয়ে বলছেন আপনি আমার রুম থেকে বেরিয়ে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার জানান, উনি আমার বিল আমাকে না জানিয়েই তুলেছে। আমরা শুনেছি এই নির্বাহী প্রকৌশলী অতীতে কোথাও ৮ থেকে ১০ মাসের বেশি চাকুরি করতে পারে নাই।
কবির তালুকদার নামের এক ঠিকাদার জানান, আমি একটা কাজ পেয়েছিলাম, আমি টাকা দিতে পারি নাই, এজন্য কাজ দেয় নাই। তিনি একক ক্ষমতায় রি-টেন্ডার করেছে।
এসব বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলেন তিনি বলেন, আপনাদের কাছে সব কিছুর ব্যাখা দিতে পারব না। কাজ করলে কিছু ভুলত্রুটি হবে। যতটুকু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে এ জন্য ক্ষমা চেয়েছি। আপনারা গণমাধ্যম কর্মী, আপনারা বেশি প্যাঁচায়েন না বলেই রুম থেকে বের হয়ে যান নির্বাহী প্রকৌশলী।
বিষয়: সিরাজগঞ্জ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: