কারিগরি-মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ভাবনা শীর্ষক মতবিনিময়
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারী ২০২১ ০১:১১; আপডেট: ২৯ জানুয়ারী ২০২১ ০১:৪৭
রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আয়োজনে ‘কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারী) প্রতিষ্ঠানটির প্লেসমেন্ট হলে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় ইনস্টিটিউটের সকল শিক্ষক ও কর্মচারী অংশ গ্রহণ করে। সভায় বক্তাগণ কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষায় বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও উদ্যোগ গ্রহণ সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক আলোকপাত করেন।
রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোঃ ওমর ফারুকের অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণকালে কারিগরি শিক্ষার হার ১-২% ছিল। সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী কারিগরি শিক্ষার প্রতি দৃঢ় মনোভাব ও গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে বর্তমানে কারিগরি শিক্ষার হার ১৭% এ উন্নীত হয়েছে। সরকার কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে বর্তমানে নানাবিধ প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম প্রতিটি উপজেলায় ১টি করে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এ্যন্ড কলেজ স্থাপন ও পাঠদান কাজ চলমান। ৪টি বিভাগীয় শহরে ৪টি নতুন মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ভূমি শিক্ষা ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে ৪টি সার্ভে ল্যান্ড কলেজ স্থাপন কাজ প্রায় শেষের দিকে। অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীর ভর্তির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিদ্যমান ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প চলমান। যে সকল জেলায় সরকারি পলিটেকনিক নাই সে সকল জেলায় (২৩টি) সরকারি পলিটেকনিক স্থাপন প্রকল্প চলমান। ৮ টি বিভাগীয় শহরে ১ টি করে মহিলা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন চলমান। চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ১ টি করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন চলমান। বিদ্যমান ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প চলমান। নির্বাচিত বেসরকারি কারিগরি স্কুল ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের আইসিটির উন্নয়ন, বেসরকারি কারিগরি স্কুল ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন, টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজের আধুনিকীকরণ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং এবং রিচার্স (বিআইটিটিআর) স্থাপন, টিভিইটি সেক্টরে শিক্ষকতার গুনগত মান উন্নয়ন প্রকল্প চলমান। এছাড়াও কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে আরো অনেক প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতিমালা-২০১১ প্রনয়ন করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির ক্ষেত্রে মহিলাদের কোটা ১০% থেকে ২০% এ উন্নীত করেছে। প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীদের জন্য ৫% কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষাকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে দেশ ব্যাপি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ চালূ করা হয়েছে। ১১৯টি সরকারি পলিটেকনিক ও টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজে ৯৫০টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম আধুনীকায়ন করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষায় বাজারের চাহিদা অনুযায়ী ৪ টি ইমাজিন টেকনোলজি চালু করা হয়েছে। ৪৭১টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে ইন্ডাস্ট্রি-ইনস্টিটিউট লিংকেজ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ইনোভেশন কাজে লাগানোর লক্ষ্যে স্কিলস কম্পিটিশন এবং জব ফেয়ার কার্যক্রম চলমান।
তিনি আরো বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ইসলামী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন, তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করেন। মাদ্রাসা শিক্ষাকে বিজ্ঞান সম্মত তথা আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে। কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাকে মার্স্টাস এর সমমান মর্যাদা প্রদান করেছে।
মতবিনিময় সভায় শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন জনাব হারুন-অর-রশিদ, রুমান্তা হোসেন মৌ, বন্ধন কুমার দাস, জাহিদুল ইসলাম, রেজিয়া পারভীন, মোঃ তৌফিকুল ইসলাম, শিবলু আহমেদ, শিল্পী রানী সাহা, জাহানারা বেগম লাইলী, মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, সৈয়দ মাহমুদুন নবী খন্দকার, আরেফ রব্বানী, সেলিম আহমেদ প্রমুখ।
এনএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: