দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বে পরিচিত পেতে চান উদ্যোক্তা ঊর্মি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২১ ১৯:১৯; আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৪:৫০

উদ্যোক্তা ঊর্মি ইসলাম ও তার ব্যবসায়ীক পন্য

তাঁত পোশাক, মাসলাইস কটন শাড়ি, ধূপিয়ান শাড়ি। ফুড আইটেমের মধ্যে খাঁটি মধু, মিক্সড নাচ এন্ড ফ্রুটস্, আজওয়া খেজুর, আলুর পাপরসহ অনুসঙ্গিক আরোও কয়েটি আইটেম আছে। গত বছরের জুলাই মাসের সেন কেয়ার এন্ড পারর্সোনাল কেয়ার পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করি। কারণ পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে। আর নিজের পরিচয়ের পরিচিত হবার জন্যে।

এভাবেই আদম্য ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন নগরীর সুলতানা বাদ ইদ্রিস কটেজে বসবাসকারী উদ্যোক্তা ঊর্মি ইসলাম। তিনি আরও জানান, কিছু ফিনান্সিয়াল ক্রাইসিস ও ছিলো। এমবিএ এই ভেবেই করেছিলাম যেহেতু নিজে উপার্জন করব। এ থেকেই অফ লাইন-অনলাইন মিলিয়ে ব্যবসায় শুরু করা।।
শাড়ি প্রতিটা মেয়ের জন্য একটা ভালোবাসা, ভাল লাগা। এ জন্য শাড়ি নিয়ে কাজ। আর ফুড আইটেম নিয়ে কাজ করছি, প্রতিটি মানুষের সুস্থতার দিক খেয়াল রেখে।
নতুন উদোক্তা দৃষ্টি আকর্ষন করে ঊর্মি ইসলাম বলেন, যারা এই ব্যবসায় আসতে চান, শিখে আসতে হবে। কম্পিটিশন খুব বেশি। প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। প্রতিনিয়ত শেখার আগ্রহ থাকতে হবে। স্টাডি করতে হবে, সকল উদ্যোক্তাদের সাথে রিলেশন বিল্ড আপ করতে হবে। তবেই সফল হবার রাস্তা খুলে যাবে। আমি সফল এটা দাবী করবোনা। তবে যতটুকু ফেস ভেলু আছে সেল করতে পারছি। নতুন নতুন অর্ডার পাচ্ছি।

ফুড আইটেম মধু, আলুর পাপর, এগুলো অর্ডার পাচ্ছিলাম। সেল করেছি। বাট ফুড আইটেম নিয়ে কাজ করতে বিএসটিআই এর সার্টিফিকেট লাগে। তাই অপাতত ফুড নিয়ে কাজ করছি না এখন। তবে গরীবফ উৎু ঋৎঁরঃং এবং বিভিন্ন খেজুর আইটেম নিয়ে কাজ করছি। এছাড়া রয়েছে রাজমা, তুলসিমালা চাল, দুধের সন্দেশ। সাম্প্রতিক সময়ে যোগ করেছি বিভিন্ন ধরণের শাড়ি, তিন পিস, নিয়ে কাজ করছি অনলাইনে।
ব্যবসা করতে তেমন বাধা নেই।

তবে বাধাটা আসে যখন গ্রামে থাকতে হয়। আমার বেশ কিছু অর্ডার দশ বারোটা ক্যানসেল করতে হয়। অর্ডার ডেলিভারি করতে পারিনি। পারিবারিক বাধাটা ছিলো বেশি। বিউটি কেয়ার পণ্য নিয়ে ওয়েবসাইট ব্যবসা করি যেখানে আমার বর সময় দিতো। পরবর্তীতে সে তার নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে আর করোনাকালীন আমরা প্রায় ছয় মাস গ্রামের বাড়ি অবস্থান করি। এসময় কিছুটা ব্যবসায় ব্যাঘাত ঘটে। আর এছাড়া পণ্য ডেলিভারি কে করবে প্রথমে এ সমস্যা থাকলেও এখন আর নেই।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইকোলজি সাবজেক্ট নিয়ে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেন। এরপর আইবিএ থেকে এমবিএ করেন ঊর্মি ইসলাম। পরে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি তে সাড়ে চার বছর সেল্স এন্ড মার্কেটিং জব বিজনেস পা বাড়ান। বাবা অকৃতিম ভালোবাসার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাবা সবসময় সাপোর্ট দিয়ে গেছেন মানসিক এবং আর্থিক ভাবে। ঞৎধরহরহম এর টাকা সব সময় আব্বুর কাছেই নিয়েছি। পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার কাছে শুকরিয়া, এই পেনডেমিক সিচুয়েশনে এখনও সকলে ভাল আছি, সুস্থ আছি। আর বিশেষ করে দুই সন্তান এর সেকরিফাইস আছে, ওদের ভূমিকাও আনেক বেশি। ওরা সবসময় আমাকে সঙ্গ দেয়।

ভবিষ্যত উচ্ছা নিয়ে বলেন, ‘ আমার ব্যবসা সামনে এগিয়ে যেতে চাই। নিজস্ব ‘ব্রন্ড’ প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। চেম্বার্স অব কমার্স এর সদস্য পদ নিতে ছড়িয়ে যেতে চাই দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বে পরিচিত হকত চাই। ব্যবসা শুরু ২০১৯ এর জুলাই মাসের শেষে। দুই বছর হতে সাড়ে তিন মাস বাকি। মাঝখানে সাত মাস কোনো কাজ করতে পারিনি। তাই মুনাফা বলার মতো তেমন কিছুনা। তবে গত একমাসে অনলাইন-অফলাইন মিলিয়ে তিরিশ হাজার টাকার সেল করেছি। এর পরেও ‘আমি পারবো আমি করবো, আমি সামনে এগিয়ে যাবো।’ খুব ইচ্ছে রাজশাহী সিল্ক কে তুলে ধরার পাশাপাশি ইচ্ছে আছে দুই-তিনজনের সংস্থান করার।

সর্বপরি সামনে এগিয়ে যাবার জন্য সকলের দোয়া আর সহযোগীতা প্রয়োজন। যদিও ‘রাজটাইম এবং আমরা রাজশাহীর উদ্যোক্তা’ পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আশাকরি পথ চলা মসৃন হবে। এজন্য সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top