করোনায় লকডাউন: বাঘায় এবার আসহায়দের পাশে নেই আ.লীগ

বাঘা প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০২১ ১৬:২৩; আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:২৮

ফাইল ছবি
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় দেশজুড়ে সরকার ঘোষিত লকডাউনে রাজশাহীর বাঘাতে দুস্থ, অসহায় ও নিম্নবিত্তদের পাশে কেউ নেই। এমনকি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পদপ্রত্যাশী ও বর্তমান এবং সম্ভাব্য চেয়ারম্যান-মেম্বার পদপ্রার্থীরাও এ কঠিন পরিস্থিতিতে খাদ্য কিংবা আর্থিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন বলে খবর পাওয়া যায়নি। 
 
জানা গেছে, গত বছর করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পরই বাঘা উপজেলায় দুস্থ-অসহায়, কর্মহীন ও নিম্নবিত্তের মানুষের মাঝে সরকারি উদ্যোগে সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া সহায়তার হাত বাড়িয়েছিল বাঘা-চারঘাটের এমপি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বাঘা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু, বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলীসহ অনেকেই। তবে  এবার অন্য কোনো ব্যক্তিদের মাধ্যমেও এখনো মেলেনি। শুধু কাউন্সিলের কথা শুনলেই কিছু আওয়ামীলীগ নেতার আগমন ঘটে বাঘাতে। 
ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের দলের পদ পাওয়ার জন্য অনেক নেতা থাকলেও এখন ওই নেতাদের এখন দেখাই যাচ্ছে না। 
করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে ঘরবন্দি করে রাখতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, জনপ্রতিনিধিদের সরকারিভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়। 
ঈরিবহন শ্রমিক মেঘলাল হোসেন বলেন, আমার মতো অনেকে কর্মহীন হয়ে বসে আছেন। এখনো আমরা কোনো খাদ্য বা আর্থিক সহায়তা পাইনি। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো আমাদের ঋণ করে চলতে হবে। 
 
বাঘা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন, করোনা প্রতিরোধে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। অনেক নেতাই দলীয় পদ নেওয়ার জন্য ভিড়। আবার কিছু নেতা কেন্দ্রীয় কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহনও করে না। বর্তমান করোনাকালীন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশেও তারা নেই। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে শিগগির অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করব। 
বাঘা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও বাঘা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই ব্যক্তি-উদ্যোগে দুস্থ ও কর্মহীন মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার শামিম আহম্মেদ বলেন- এই উপজেলায় কর্মহীন মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। এখন পর্যন্ত  সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ আসেনি। তবে কয়েক দিনের মধ্য আসবে বলে শুনেছি। এছাড়া ব্যক্তি-উদ্যোগে কেউ অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্য সহায়তা করেনি।
 
 
 
 
 
 
এসকে
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 


বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top