পদ্মা নদীতে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি ওয়ার্কার্স পার্টির

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০০:৫৬; আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:৩১

নগরীতে ওয়ার্কার্স পার্টির মানববন্ধন

রাজশাহীর পদ্মা নদীতে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন বন্ধসহ পাঁচটি দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে ‘নদী বাঁচাও দেশ বাঁচাও’ শ্লোগানে এই কর্মসূচির আয়োজন করে দলটির জেলা ও মহানগর কমিটি।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নদীর প্রতি অবহেলার জন্য পৃথিবীর অনেক সভ্যতা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। নদী বাঁচানোর দাবি আমাদের জীবন বাঁচানোর সমার্থক। পদ্মা নদীকে দূষিত করার সব কর্মকাণ্ড এখনই বন্ধ করতে হবে। না হলে রাজশাহীর পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য বিপর্যয় আরো বৃদ্ধি পাবে। শহরটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে।

বক্তারা আরও বলেন, আজকে পদ্মা নদী মৃতপ্রায়। মৃত এই নদীতে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে সরকারের জাতীয় পর্যায়ের ড্রেজিং পরিকল্পনায় পদ্মা নদীকে অন্তর্ভূক্ত করার বিকল্প নেই। সরকারি এবং বেসসকারি পর্যায়ে অনেকেই নদী দখলের খেলায় মেতেছেন। নদী দখল ঠেকানো এখন সময়ের দাবি। একাধিকবার এ নিয়ে কথা বলা হলেও কার্যত কোন উদ্যোগ অদৃশ্যমান।’

নদীতে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা বলেন, ঠিকাদাররা নদী থেকে বালু উত্তোলনের কোন নীতিমালা মানছেন না। মধ্য নদী থেকে তাদের বালু উত্তোলনের কথা থাকলেও যেখান থেকে পারছেন বালু তুলে আনছেন। এটি থামানো না গেলে পদ্মা নদীকে বিদায় জানানোর আর বেশি দিন নেই। এ বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসকের কঠোর নজরদারি কামনা করি।’

এর আগে সোনাইকান্দি থেকে বুলুনপুর পর্যন্ত রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার উদ্যোগে ২৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়। মানববন্ধনে বাঁধটির পরিধি মিজানের মোড় হয়ে চারঘাট পর্যন্ত প্রসারিত করার দাবি জানান ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ।

কর্মসূচি থেকে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়। সেগুলো হলো- পদ্মা নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি করতে ড্রেজিং, সরকারি-বেসরকারি সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ, রাজশাহী শহর রক্ষায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ এবং নদীতে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করা।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু। বক্তব্য দেন- জেলা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, মহানগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল মতিন।

এছাড়াও ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আশরাফুল হক তোতা, মহানগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. আবু সাঈদ, আবুল কালাম আজাদ, নাজমুল করিম অপু, মহানগর সদস্য সাঈদ চৌধুরী, ইসমাইল হোসেন, শাহিনুর বেগম, কাশিয়াডাঙ্গা থানার সভাপতি শামীম ইমতিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল বাবলু, মহানগর যুবমৈত্রীর সভাপতি মনিরুজ্জুমান মনির, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক বকুল, ছাত্রমৈত্রীর ওহিদুর রহমানসহ জেলা ও মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টি এবং সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top