এবছর কমতে পারে মন্ডপ সংখ্যা

নগরীতে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত কারিগররা

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০২০ ২০:২৪; আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৪৭

প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত এক কারিগর

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নগরী রাজশাহী। এই নগরীতে যুগের পর যুগ প্রতিটি ধর্মের অনুসারীরা তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করে আসছে।

আগামী ২২ অক্টোবর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এই পূজাকে কেন্দ্র করে নগরীতে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পালরা।

২২ অক্টোবর মহাষষ্ঠী তিথিতে বোধন দিয়ে শুরু হয়ে ২৬ অক্টোবর মহাদশমীতে বিসর্জনে শেষ হবে এই উৎসব। সপ্তমী পূজার মাধ্যমে শুরু হবে দুর্গোৎসবের মূল আচার অনুষ্ঠান।

আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা কারিগররা। মন্দির ও পাল বাড়িগুলো ব্যস্ততার চিত্র চোখে পড়েছে। নগরীর মিয়াপাড়ার ধর্মসভা, গণকপাড়ার বৈষ্ণবসভা, ঘোড়ামারা, শেখেরচক, কুমারপাড়া ও মিয়াপাড়া এলাকায় পুরোদমে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। কারিগররা বলছেন- এবছর প্রতিমা তৈরির তেমন অর্ডার নেই। কেউ কেউ দলবদ্ধভাবে কাজ সম্পন্ন করছেন।

নগরীর প্রধান প্রধান কিছু মন্দির ঘুরে দেখা যায়, কাঠ-বাঁশ দিয়ে ফ্রেম তৈরি করে খড় (ধানের আউড়) দিয়ে সাজিয়ে কাঁদা-মাটি লাগানো হচ্ছে। কারও কারও প্রতিমা রূপে এসেছে। কারওটার আবার শুধুই কাঠামো দেখা যাচ্ছে। বাকি পড়ে আছে পোশাক ও গয়না পরানো।

তবে প্রতিবছরের মত উৎসবের আমেজ থাকছে না এবারের দুর্গাপুজায়। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সবাইকে পালন করতে হবে এই উৎসব। মহালয়া থেকে শুরু করে শারদীয় এই উৎসবের সব ক্ষেত্রেই থাকছে স্বাস্থ্যবিধির কড়া নির্দেশ।

সনাতন ধর্মের ধর্মীয় বিশ্বাস আর তাদের রীতি অনুযায়ী, মহালয়া, বোধন আর সন্ধিপূজা- এই তিন পর্ব মিলে অনুষ্ঠিত হয় দুর্গোৎসব। সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন হয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। আশ্বিন মাসের এই শুক্ল পক্ষকে বলা হয় দেবীপক্ষ। দেবীপক্ষের শুরু হয় যে অমাবস্যায়, সেদিন বলা হয় মহালয়া। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সেদিন ‘কন্যারূপে’ মর্ত্যে আসেন দেবী দুর্গা।

এবছর হবে না আশ্বিনে দেবীর পূজা কারণ এবছর মহালয়া হবে ১৭ সেপ্টেম্বর কিন্তু পঞ্জিকার হিসাবে এবার আশ্বিন মাস ‘মল মাস’ মানে অশুভ মাস। সে কারণে এবার হবে না। পূজা হবে কার্তিক মাসে। সেই হিসাবে এবার দেবী দুর্গা ‘মর্ত্যে আসবেন’ মহালয়ার ৩৫ দিন পরে।

হাতে এখনও এক মাসেরও বেশি সময় আছে বলে জানান নগরীর আলুপট্টির কুমারপাড়া এলাকার প্রতিমা কারিগর কার্তিক চন্দ্র পাল। তিনি বলেন ‘ভাদ্র মাস শুরু হয়েছে, অথচ এখন রাজশাহীতে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। হঠাৎ আকাশে মেঘ করে বৃষ্টি আসলে বাইরে থেকে প্রতিমা ঘরে তুলতে হচ্ছে। এতে সময় ও শ্রম দুটো যাচ্ছে।’

এবারের দুর্গপূজায় মন্ডপের সংখ্যা কমতে পারে জানিয়েছেন রাজশাহী হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ। তিনি জানান, এখনো জানা যায়নি কতটি মন্দির ও মন্ডুপে দুর্গাপূজা হবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে গত বছরের চেয়ে এবছর জেলা ও নগরে কমবে দুর্গাপূজা।

  • এসএইচ


বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top