পা হারালেন কলেজ ছাত্র হিমেল

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০২২ ০২:০৭; আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ২২:০৩

ফাইল ছবি

রাজশাহীর বাঘায় জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে হিমেল হোসেন নামের এক কলেজ ছাত্র পা হারিয়েছেন। শনিবার (২৩ এপ্রিল) এই পা পরিবারের পক্ষ থেকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এভার কেয়ার ঢাকা হাসপাতালের ডা. অজয় অবরণ তার অস্ত্রপাচার করে পা শরীর থেকে বিছিন্ন করা হয়। তারপর থেকে হিমেল ও তার পরিবার মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। হিমেল হোসেন আলাইপুর মহাজনপাড়া গ্রামের মোকারম হোসেনের ছেলে এবং স্থানীয় মীরগঞ্জ কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।

জানা যায়, হিমেল হোসেনের ক্রয়কৃত জমি নিয়ে আলাইপুর থান্দার পড়া গ্রামের বিচ্ছাদ আলীর ছেলে জেনডাল আলীর সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে দ্বন্দ্ব চলছিল। এই জমিতে ১৭ এপ্রিল সেচ দিচ্ছিলেন হিমেল হোসেন। এ সময় জেনডাল আলী জমিতে সেচ দিতে নিষেধ করে। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে জেনডাল আলীর হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে হিমেল হোসেনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। তার বেগতিক অবস্থা দেখে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাৎক্ষনিক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানেও তার অবস্থা খারাপ দেখে ঢাকা হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে এভার কেয়ার ঢাকা হাসপাতালের ডা. অজয় অবরণে অধীনে ভর্তি করা হয়। তিনদিন তাকে অবজারভেশনে রাখার পর বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) তার অস্ত্রপাচার করে পা শরীর থেকে বিছিন্ন করা হয়। তারপর থেকে হিমেল ও তার পরিবার মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে।

এ বিষয়ে হিমেলে পিতা মোকারম হোসেন বলেন, আমি গরীব মানুষ। ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছিনা। পা হারানো পঙ্গু ছেলেকে নিয়ে কি করে চলবো। তবে কোন সুহৃদ ব্যক্তি চিকিৎসা খরচ ও একটি কৃত্তিম পা এর ব্যবস্থা করে দিলে মানষিকভাবে স্থস্তি পেতাম। এর সাথে আমার ছেলেকে যে কাজটি করেছেন তার সুষ্ট বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, জেনডাল আলীকে ধারালো হাসুয়াসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে সে জেল হাজতে রয়েছে।

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top