পাত্রী দেখে টাকা দেওয়া জায়েজ?

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৫০; আপডেট: ৬ মে ২০২৪ ০৪:২৪

ছবি: সংগৃহীত

বিয়ে ইসলামি শরিয়তের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। পবিত্র এই বন্ধনের প্রথম সূত্র হলো পাত্র-পাত্রী পরস্পরকে দেখা। হজরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ‘যদি কেউ কোনো মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে চায়, তাহলে সে যেন যথাসম্ভব ওই মহিলাকে দেখে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২০৮২)

পাত্রী দেখে টাকা দেওয়ার ব্যাপারে শরিয়তের বিধান হলো- পাত্র-পাত্রী পরস্পরের দেখাদেখির পর পাত্রের পক্ষ থেকে পাত্রীকে কিংবা পাত্রীর পক্ষ থেকে পাত্রকে হাদিয়া দেওয়া জায়েজ আছে। (কিতাবুন নাওয়াজেল: ৮/২৮)

এটি এক ধরণের সামাজিকতাও বটে। যদি কোনো অঞ্চলে পাত্রীকে টাকা দেওয়ার প্রচলন থাকে, তাহলে টাকা দেওয়া যায়। আবার কারো মধ্যে বইপত্রের প্রতি আগ্রহ থাকে, তখন তাকে বইপত্র বিশেষ করে ইসলামি বইপত্র উপহার হিসেবে দেওয়া যায়। তদ্রূপ কারো বাড়িতে যাওয়ার সময় মিষ্টিজাতীয় কিছু নিয়ে গেলেন বা অন্য উপহারসামগ্রী নিয়ে গেলেন—এতে হারামের কিছু নেই, বরং এসবকিছু উপহার হিসেবে ধর্তব্য হবে। আর উপহার-উপঢৌকন ইসলামে একটি পছন্দের বিষয়।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন- تَهَادُوا تَحَابُّوا ‘তোমরা উপহার বিনিময় করো, পারস্পরিক সম্প্রীতি লাভ করবে।’ (বুখারি, আল-আদাবুল মুফরাদ: ৫৯৪, আবু ইয়ালা: ৬১৪৮, সহিহুল জামে: ৩০০৪)

প্রসঙ্গত, ইসলামে বিয়ের আগে পাত্রীকে গাইরে মাহরামদের মধ্যে শুধু পাত্রই দেখতে পারবে। পাত্রের বাপ-ভাই, বন্ধুবান্ধব কেউ সঙ্গে থাকতে পারবে না। পাত্রীর শুধু কবজি পর্যন্ত হাত, টাখনু পর্যন্ত পা ও মুখমণ্ডল দেখাই পাত্রের জন্য বৈধ। এছাড়া অন্যকোনো অঙ্গ আবরণ ছাড়া দেখতে পারবে না।

এছাড়াও নির্জনে পাত্র-পাত্রীর একত্র হওয়া বৈধ নয়। তবে, পাত্রের বাড়ির মহিলারা পাত্রীকে দেখতে পারবে। (আল-মাওসুআতুল ফিকহিয়্যাহ: ২২/১৭; সুরা নিসা: ২৩, তাফসিরে মাজহারি: ২/২৫৪)



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top