মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে সফল কৃষক

রাজ টাইমস | প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর ২০২৩ ১২:২৬; আপডেট: ২ মে ২০২৪ ১৬:২৮

ছবি: সংগৃহীত

মাচায় চাষ করা তরমুজে ভরে গেছে খেত। কৃষকের খেতের মাচায় ঝুলছে শত শত তরমুজ। রবি হাইব্রিড জাতের এসব তরমুজ এখন বাজারজাতকরণেরও সময় হয়েছে। একই সঙ্গে বেশি লাভের আশা করছেন কৃষক। আর ফলনকে বিষমুক্ত রাখতে ব্যবহার করা হয়েছে মালচিং পদ্ধতি ও ফেরোমন ফাঁদ।

চলতি বছরে কৃষক পাবনার রাজাপুরে ২৫ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষ শুরু করেন। ভাল ফলনে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন পাবনা সদর উপজেলার রাজাপুরের কৃষক সুলতান প্রামানিক।

কৃষক সুলতান বলেন, ‘উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে মালচিং পদ্ধতিতে ২৫ শতাংশ জমিতে ছয়টি ট্রেতে বীজ বপন করি। এতে ৪০০টি তরমুজের চারা পরিপূর্ণভাবে বেড়ে ওঠে। এরপর নানান পরিচর্যায় গাছগুলোতে ফুল আসতে শুরু করে।

‘আমার খরচ হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করা তরমুজ ৬৫ দিনের মধ্যে বিক্রির উপযোগী হয়। প্রতিটি তরমুজের ওজন ২ থেকে ৩ কেজি করে হবে। স্থানীয় বাজারে বারোমাসি তরমুজের ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রতি কেজি তরমুজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা যাবে বলে আশা রাখছি। এতে ধান ও সবজি চাষের প্রায় দ্বিগুণ লাভ হতে পারে প্রতি ফলনে।’

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে সুলতান নামের এক কৃষক তরমুজের চাষ করেছে। তিনি তরমুজ চাষে মালচিং পদ্ধতিতে ব্যবহার করেছে। এ পদ্ধতি মূলত চীন ও জাপানের বিষমুক্ত সবজি চাষের একটি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি। আবহাওয়া ও মাটির উর্বরতার কারণে হলুদ, ও সবুজ রংয়ের তরমুজ হলেও এখানে কালো জাতের তরমুজও চাষ করেছে কৃষক।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাহানা পারভীন লাবনী বলেন, ‘স্থানীয় কৃষকদের উচ্চমূল্যের ফসল হিসেবে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়। রাজাপুরে চাষিরা ফেরোমন ফাঁদ ও মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করায় ফলন হবে বিষমুক্ত। আশা করছি মালচিং পদ্ধতিতে মাচায় তরমুজ চাষে এ এলাকায় তরমুজ চাষ আরও সম্প্রসারিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রাজাপুরের কৃষক সুলতান প্রামানিককে বিনামূল্যে সার ও বীজসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে আমাদের পক্ষ থেকে। কৃষি অফিসের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। মালচিং পদ্ধতিতে প্রতি হেক্টরে ৩০ থেকে ৩৫ টন তরমুজ উৎপাদন করা সম্ভব।’



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top